প্রেমের টানে নেপালি তরুণী টাঙ্গাইলে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার
মালয়েশিয়ায় একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই প্রেমের টানেই বাংলাদেশে ছুটে আসেন সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামের এক নেপালি তরুণী। পরে ধর্মান্তরিত হয়ে টাঙ্গাইলের সখীপুরের যুবক নাজমুল ইসলামকে (২৫) বিয়ে করেন তিনি।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর নেপালি ওই তরুণীর নাম হয় খাদিজা আক্তার। এর পর টাঙ্গাইলের কাকড়াজান ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার ছেলে নাজমুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ওই তরুণী।
জানা গেছে, প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কাজ করার সময় পরস্পরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ১৫ দিন আগে নেপাল থেকে তারা একসঙ্গে বাংলাদেশে আসেন বাংলাদেশে। পরে ধর্মান্তরিত হয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নাজমুল ও খাদিজা।
বাঙালি পোশাক পরে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন নেপালের ওই তরুণী। বাঙালি আচার-আচারণ ও পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করলেও ভাষাগত কিছু সমস্যা রয়েছে তার।
নেপালের কাঠমান্ডু শহরেই তরুণীর বাড়ি। সেখান থেকে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তার হাত ধরে খাদিজা বাংলাদেশে আসে বলে জানান নাজমুল।
নাজমুল আরও জানান, নেপালি আদালতেও তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। দেশে আসার পর টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ করেন এবং স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্ট্রার দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করেন এই দম্পতি।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে খাদিজা আক্তারের নেপালি ভাষার অনুবাদ করে নাজমুল বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাজমুলকে অনেক ভালোবাসি। আমি আর নেপালে ফিরে যাবো না।’
‘একটি হিন্দু মেয়ে আমাকে ভালোবেসে মুসলমান হয়ে আমাকে বিয়ে করেছে এবং দেশত্যাগ করে বাংলাদেশে এসেছে। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই’ বলেন নাজমুল।
এ সংবাদ পেয়ে নবদম্পতিকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ তাদের বাড়িতে আসছেন বলেও জানান হুমায়ুন মিয়া।
এএইচ/