‘প্রেম-বিয়ে করব না’ জোর করে ছাত্রীদের শপথ, তোলপাড়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার
জোর করে ছাত্রীদের শপথ করানোয় তোলপাড়
‘যে কোনও রকমের প্রেমের সম্পর্ক থেকে দূরে থাকব। লাভ ম্যারেজ বা প্রেম-বিবাহ করব না।’ ভালোবাসা দিবসে এ রকমই অদ্ভুত অঙ্গীকার করানো হলো ভারতের মহারাষ্ট্রের এক মহিলা কলেজের ছাত্রীদের দিয়ে। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেটিজেনদের একাংশ।
মহারাষ্ট্রের চান্দুর রেলস্টেশনের কাছাকাছি অবস্থিত মহিলা আর্টস অ্যান্ড কমার্স কলেজ। সেখানকার ছাত্রীদেরই শুক্রবার জোর করে প্রেম না করার জন্য শপথ নেয়ানো হয়েছে। জানা গেছে, ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম (এনএসএস)-এর কর্মসূচীর অংশ হিসাবে এই অঙ্গীকার করানো হয়েছে।
অঙ্গীকারের সেই ভিডিওতে ছাত্রীদের বলানো হচ্ছে, ‘আমি অঙ্গীকার করছি, বাবা-মায়ের উপর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। তাই আমার সামনে ঘটা বিভিন্ন ঘটনা দেখে আমি বলছি, আমি কোনওদিন প্রেম বা প্রেম-বিবাহ করব না। আমি এ রকম কাউকে বিয়ে করব না, যে পণ নিতে চায়। আমার যেখানেই বিয়ে হোক, ভবিষ্যতে আমিও কোনওদিন পণ নেব না বা দেব না। এটা আমার সামাজিক কর্তব্য।’
এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, জোর করেই ছাত্রীদের দিয়ে এই শপথ নেয়ানো হয়েছে। যদিও ছাত্রীদের একাংশ আবার এই প্রেম-বিবাহ না করার পক্ষেই সহমত পোষণ করেছেন।
ঋতিকা রঙ্গারি নামের ওই কলেজের এক ছাত্রী বলেছেন, ‘ভালবাসার পাত্রকে ভাল ও স্বনির্ভর হতে হবে। তাই আমি মনে করি, প্রেমের ব্যাপারে সব সময় পরিবারের পরামর্শ নেয়া উচিত।’
অন্য এক ছাত্রী বলেছেন, ‘আমি এই শপথ নিয়েছি। আমার বাবা-মায়ের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি কোনওদিন প্রেম বা প্রেম-বিবাহ করব না।’
এদিকে, মহারাষ্ট্রের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী যশোমতী ঠাকুর বলেছেন, ‘প্রত্যেক ছাত্রীর এই শপথ নেয়া উচিত। ওয়ার্ধার মতো ঘটনা থেকে সতর্ক হতে কলেজগুলোর উচিত প্রত্যেককে এমনই শপথ গ্রহণ করানো।’
প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার হিঙ্গনঘাটে ২৪ বছরের এক কলেজ শিক্ষিকার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল তারই প্রেমে ব্যর্থ হওয়া প্রেমিক। পরে নাগপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় তরুণ ওই শিক্ষিকার। সূত্র- আনন্দবাজার।
এনএস/