সেন্টমার্টিনে আরও এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনের নিকটবর্তী সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহত আরও এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা। এনিয়ে এমন ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ জনে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব সাগর এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না হলেও আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর বলে জানিয়েছেন কোষ্টগার্ড।এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনের একই এলাকা থেকে আরো এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট নাঈম-উল হক জানিয়েছেন,‘শনিবার বেলা ১২টার দিকে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব সাগরে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। পরে সেখানে পৌঁছে কোস্টগার্ড এক নারীর মৃতদেহটি করেছে। নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। মৃতদেহটি ফুলে ফেঁপে গিয়ে শরীর থেকে চামড়া উঠে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহত কোন নারীর মৃতদেহ এটি।
লেফটেন্যান্ট নাঈম-উল হক বলেন, ‘মঙ্গলবার ভোর রাতে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের নিকটবর্তী সাগরে মালয়েশিয়াগামী ১৩৮ জন রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে কোস্টগার্ডসহ নৌ-বাহিনী ও স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় ১৫ জনের মৃতদেহ এবং জীবিত অবস্থায় ৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার ভোর রাতে সেন্টমমার্টিনের নিকটবর্তী সাগর থেকে মুর্মূষাবস্থায় আরও ১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। ঘটনায় আরো ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৪৮ জন। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনের একই এলাকা থেকে আরো এক রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এ নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ জনের। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলো টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
টেকনাফ থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন,‘থানায় হস্তান্তর করা মৃতদেহ ২ টি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে’।
কেআই/আরকে