প্রতিবন্ধীদের জন্য গ্রামীণফোনের `সাইন-লাইন`
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার
নিজের ভাষায় কথা বলতে আমরা সবাই চাই। যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নানাভাবেই সমাজের নানা স্তরের মানুষকে সহায়তা করছে। আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা কথা শুনতে ও বলতে পারেন না। তাদের সাথে যোগাযোগে সবাইকে ইশারা ভাষা শিখতে উৎসাহিত করতে ‘কথাগুলো হারিয়ে না যাক শব্দের অভাবে’ প্রতিপাদ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন।
এ প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি আজ রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা হোটেলে সাইন-লাইন ডিজিটাল কেয়ার উদ্বোধন করে। শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীদের জন্য এ ডিজিটাল কেয়ারে সেবাও প্রদান করবেন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণফোন, এর ওয়েবসাইট ও সেলফ সার্ভিস ডিজিটাল কেয়ার অ্যাপ মাইজিপি’তে ইশারা ভাষা ভিত্তিক গ্রাহকসেবা চালু করেছে। এছাড়াও, ‘কথাগুলো হারিয়ে না যাক শব্দের অভাবে’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ইশারা ভাষা বিশেষজ্ঞ আরাফাত সুলতানা লতার প্রশিক্ষণে গ্রামীণফোনের ইউটিউব চ্যানেলে ইশারা ভাষার ভিডিও টিউটোরিয়াল আপলোড করা হয়েছে। যা আগ্রহীদের ইশারা ভাষা শিখতে প্রাথমিক সহায়তা করবে এবং তাদেরকে সুযোগ করে দিবে কথা বলতে পারেন না এবং কথা শুনতে পান না এমন প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করার।
ফেব্রুয়ারি আত্মত্যাগ ও অর্জনের মাস। বাংলা ভাষার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি মহান আত্মত্যাগেরর প্রতিশব্দস্বরূপ। এ আত্মত্যাগের কারণেই আজ সারাবিশ্বে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ইশারা ভাষা অনেকের অজানা। গ্রামীণফোনের এ উদ্যোগ সহায়তা করবে আমাদের মূল ভাষার মতো এ ভাষার গুরুত্বকে সমাজে সবার সামনে নিয়ে আসতে।
অনুষ্ঠানে ইশারা ভাষা বিশেষজ্ঞ আরাফাত সুলতানা লতার নেতৃত্বে একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ ইশারা ভাষায় পরিবেশন করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, হেড অফ মার্কেটিং নাফিস আনোয়ার চেীধুরী, হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার এবং জনপ্রিয় অভিনেতা ও শিল্পী তাহসান খান।
আরকে//