জমে উঠেছে বইমেলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪১ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১০:৫৮ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
বইমেলা জমে উঠেছে- সংগৃহীত
লেখক ও পাঠকদের পদচারণায় জমে উঠছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বাংলা একাডেমির আয়োজনে একাডেমি ও সোহরাওয়াদী উদ্যান প্রাঙ্গনে মাসব্যাপি অনুষ্ঠিত এ মেলার ১৫তম দিন ছিল গতকাল রোববার। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস থাকলেও মেলায় ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়। বই কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। এতে দারুন খুশি মেলার প্রকাশক, লেখক ও বিক্রেতারা।
আরও জমজমাট হচ্ছে মেলা। দিন যতই যাচ্ছে, প্রতিদিনই মেলায় বাড়ছে বইপ্রেমীদের আনাগোনা। তবে বই কেনা বা বই বিক্রির বাইরে এসে বইমেলা এবছর সত্যিকার অর্থেই মেলা হয়ে উঠেছে।
এবার ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে বেশ ঘটা করে সাজানো হয়েছে বইমেলা। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে চারটি ভাগে ভাগ করে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে পুরো মেলাজুড়ে।
‘শেকড়’, ‘সংগ্রাম’, ‘মুক্তি’ এবং ‘অর্জন’ চারটি ভাগে ভাগ করে বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনের অর্জনকে তুলে ধরার প্রয়াস রয়েছে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে। সেদিক থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি, বঙ্গবন্ধুর কথামালা ও তার অর্জনের বিভিন্ন বিষয়কে দৃষ্টিনন্দনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বইমেলায় এবার দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়নগুলোও আকর্ষণীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে পাঠক দর্শনার্থীদের কাছে। এবারের মেলায় ৩৪টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে কথাপ্রকাশ, ইউপিএল, বাংলা প্রকাশ, পাঞ্জেরী, ঐতিহ্য, জার্নিম্যান বুকস, শোভাপ্রকাশ, প্যাভিলিয়নগুলো দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।
মেলায় ঘুরতে আসা হালিমা বেগম নামে এক দর্শনার্থী বলেন, মেলায় ধুলোর ছড়াছড়ি নেই। স্টলে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলে বসে জিরিয়ে নেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া পুরো মেলাকে যেভাবে সাজানো তা সবাইকে মুগ্ধ করছে।
জমে উঠেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০- সংগৃহীত
মেলা পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, ‘মেলার মাঝামাঝি আছি আমরা। এখন এর যে সত্যিকার জমজমাট রূপ তা দেখা যাচ্ছে। এ ধারা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেই আমরা আশা করছি’।
গতকালের নতুন বই : বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার মেলায় নতুন বই এসেছে ১৪৬টি।
আজকের মেলা : আজ সোমবার। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৬তম দিন। মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ রচিত ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ এবং ড. কুতুব আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এমএস/