১৭১ বাংলাদেশিকে না ফেরাতে পরামর্শ চীনা রাষ্ট্রদূতের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৩:২৮ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
বক্তব্য রাখেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং- সংগৃহীত
চীনের হুবেই প্রদেশে আটকাপড়া ১৭১ বাংলাদেশিকে এখনই দেশে না ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিকাব আয়োজিত ‘ডিকাব টকে’ তিনি এ পরামর্শ দেন।
‘ঝুঁকি’ বিবেচনায় নিয়ে দেশের এবং জনগণের স্বার্থ চিন্তা করেই বাংলাদেশকে এমনটি ভাবার কথা বলেছেন তিনি।
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পর গত ১ ফেব্রুয়ারি হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আনা হয়। তাদের আশকোনার হজ ক্যাম্পে ১৪ দিনের জন্য বিচ্ছিন্ন অবস্থায় (কোয়ারেন্টাইন) রেখে সুস্থতা নিশ্চিত হওয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়। হুবেই প্রদেশ থেকে ফিরতে আগ্রহী আরও ১৭১ বাংলাদেশি। এজন্য তারা আবেদন জানালেও এ ব্যাপারে সময় নিচ্ছে ঢাকা।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘এদের ফিরে আসার বিষয়ে চীনের অনুমোদন তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু কয়েকটি টেকনিক্যাল কারণে তাদের দেশে আসা পিছিয়ে যাচ্ছে। এর আগে ৩১২ জনকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে আনা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ বিমান তাদের ফ্লাইট আর চীনে পাঠাতে চাচ্ছে না। আমরা এখন বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদেরকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় চীনের দূতাবাস চীনাদের এ দেশে থাকার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন কাজে যুক্ত যারা চীনে ফিরে গেছেন, তাদের এখনই ফিরে আসতে নিষেধ করেছে। বাংলাদেশে থাকা কোনো চাইনিজ এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হননি। আবার চীনে থাকা কোনো বাংলাদেশিও আক্রান্ত হননি। দুর্ভাগ্যক্রমে সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা চলছে।’
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে চীনের বিকল্প হিসেবে অন্য দেশে ব্যবসা স্থানান্তর না করতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারই এখানে মূল ভূমিকা পালনকারী, চীন নয়। তবে এই সমস্যার সমাধানে চীন দুই দেশকেই সহায়তা করছে।’
এসময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ত্রিপক্ষীয় পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে দ্রুত অগ্রগতির আশাবাদ ব্যক্ত করেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানান,বাংলাদেশে এই মুহূর্তে মোট ১০ হাজারের মতো চীনা নাগরিক আছেন। এর মধ্যে প্রায় আট হাজারের মতো বিভিন্ন প্রকল্পে জড়িত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি আঙ্গুর রাহার মন্টি এবং সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান।
এমএস/