ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

একুশে টিভিতে চলছে ডাবিংকৃত চীনা ড্রামা সিরিজ ‘মূ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৭:০৯ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার

একুশে টিভিতে চলছে ডাবিংকৃত চীনা ড্রামা সিরিজ ‘মূ’

একুশে টিভিতে চলছে ডাবিংকৃত চীনা ড্রামা সিরিজ ‘মূ’

একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে বাংলায় ডাবিংকৃত চীনা ড্রামা সিরিজ ‘মূ’। ১০০ পর্বের এই সিরিজে চীনা মিং সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ষড়যন্ত্র, ঘৃণা ও ভালোবাসার ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ড্রামা সিরিজটি প্রচারিত হচ্ছে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা ও রাত সাড়ে ১০টায়।

চীনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তৈরি করা ড্রামা সিরিজটি পরিচালনা করেছেন রিংগো ইয়ু। ওয়াং জুয়ানের চিত্রনাট্যের এই সিরিজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। উল্লেখ্য, মিং সাম্রাজ্য ১৩৬৮ সাল থেকে ১৬৪৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বছর চীন শাসন করে।
 
২০১২ সালে সিরিজিটি প্রথম চীনের সরকারি স্টেশন সিসিটিভিতে ‘টার্বুলেন্স অব দ্যা মু ক্লেন’ নামে প্রচারিত হয়। ‘মূ’ ড্রামা সিরিজটি মূলত চীনা সাম্রাজ্যের রাজপরিবারের দ্বন্দ্ব ও ঘটনা প্রবাহ নিয়ে নির্মিত। 

সিরিজের কাহিনী চিত্রে দেখা যায়, রাজ পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার লোভে নিজেদের মধ্যে সর্বদা যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত থাকতো। সাধারণ পরিবার থেকে আসা আলেকু পাঁচ বছর বয়সে হৃদয়ে প্রতিশোধের আগুন নিয়ে ‘মূ’ পরিবারকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাজ-পরিচারিকা হিসেবে প্রাসাদে প্রবেশ করে। দীর্ঘ বিশ বছর ‘মূ’ পরিবারের সঙ্গে অতিবাহিত করেও তার প্রতিশোধের আগুন নেভেনি।

কিন্তু এই দীর্ঘ পরিক্রমায় আলেকু রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য মূ-জেং এর সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, যা রাজপরিবার কোনওভাবেই মেনে নিতে পারে না। 

রাজপরিবারের দুর্বিষহ প্রতিবন্ধকতার মুখে একসময়ে আলেকু ও মূ-জেং একসঙ্গে আত্মহননের পথ বেছে নেয় এবং পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পর আলেকু’র দূরদর্শিতা ও বুদ্ধিমত্তায় তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। অত:পর ধীরে ধীরে রাজপরিবারের সকল অর্ন্তদ্বন্দ দূর করে আলেকু হয়ে ওঠে ‘মূ’ রাজপরিবারের অন্যতম ক্ষমতাধর ও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। 

বাংলায় ডাবিং করা এমনই থ্রিলারধর্মী চীনা ড্রামা সিরিজটি দেখতে চোখ রাখুন একুশে টিভির পর্দায়। দেশের জনপ্রিয় এই টিভি স্টেশনে খবর ছাড়াও প্রচারিত হচ্ছে খবরের বিশ্লেষণধর্মী টকশো অনুষ্ঠান ‘একুশের রাত’। এছাড়াও ‘খোলা জানালা’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ মতামতসহ দেখতে পাবেন নানা বিশ্লেষণ। 

এ ছাড়াও একুশে টেলিভিশনে রয়েছে বিভিন্ন বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন। রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান- সেরা নারীর সেরা রান্না, মজার টিফিন চাই; কমেডি শো- মামাভাগ্নের বৈঠকখানা; লাইফ স্টাইল বিষয়ক অনুষ্ঠান- বিয়ের রাজকন্যা, রুপ লাবণ্য, প্রবাস জীবন; গানের অনুষ্ঠান- ফোক মোমেন্টেস, মিউজিক এক্সপ্রেস, গানের ওপারে; স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান- হেলদি লাইফ, দ্য ডক্টরস ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করেছে। 

এছাড়াও ইসলামী জিজ্ঞাসা, একুশের সকাল, ই-টেক, ভাইরাল শো দর্শকদের তথ্য বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে নিয়মিতই। এসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় নাটক ও সিনেমা একুশের দর্শকদের মন রাঙিয়ে চলেছে সেই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। 

২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলার চিরায়ত উৎসবের দিন নববর্ষে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ঘোষণার মধ্য দিয়ে একুশে টেলিভিশন যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একুশে টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে জয় করে কোটি দর্শকের মন।

দেখুন, ট্রেইলার-

 

এনএস/