খাজা ইউনুস আলী মেডিকেলে নাটক ‘এর শেষ কোথায়’ মঞ্চস্থ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
সমাজের বখে যাওয়া প্রভাবশালী ধনীর দুলালদের হাতে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও ধর্ষণের ঘটনা অবলম্বনে নাটক ‘এর শেষ কোথায়’ মঞ্চায়ন হয়েছে। মানব হিতৈষী কর্মবীর প্রয়াত ডা. এম এম আমজাদ হোসেনের উদ্যোগে চিকিৎসা সেবায় উচ্চতর জ্ঞান অর্জনে প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজের মেধাবী ছাত্রী সুপ্তি আর ফাতিন ও তার দলের ২০ মিনিটের এ মঞ্চায়নে প্রাণবন্ত উপস্থাপনা শত-শত দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দেয়।
কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বাৎসরিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার রাতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্বরচিত নাটক প্রতিযোগীতায় ১২তম ব্যাচের মুস্তাইন ইশার পরিচালনায় এই নাটকের ঘটনা অবলম্বনে, প্রথমেই স্কুল শিক্ষক ১২ ব্যাচের শিবলীর মেয়ে সুপ্তি আর ফাতিনকে লেখা-পড়া শেষে সন্ধ্যার পর বাড়ি ফেরা সময় রাস্তায় প্রভাবশালীর বখাটে সন্তানরা জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এনিয়ে ধর্ষকের পিতার কাছে হতভাগীর পিতা জানাতে গেলে তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পরে তা গড়ায় মামলায়। বিচার কাজও প্রভাবিত করে প্রভাবশালীরা নির্দোষ খালাশ পায়।
এরপর মেয়েটি বিষ পানে আত্মহত্যা করে। পাগল হয়ে যায় বাবা। এর কিছু দিন পর ঐ ধর্ষকদের মুক্ত করতে যে উকিল সহযোগীতা করেছিল তার মেয়েকেও একই ভাবে ঐ বখাটেরা ধর্ষণ করে। তখন তার বাবার কাছে জানাতে গেলে তাকেও একই ভাবে তাড়িয়ে দেয়া হয় উকিলকে। আর এভাবেই পুরো নাটকটিতে সমাজের নারী নির্যাতন, ধর্ষণের বর্তমান চিত্র নানাভাবে ফুটিয়ে তুলে নারীদের উপর অত্যাচার বন্ধে সকলকে সচেতন হবার জন্য আহবান জানানো হয়। নাটকটি শেষ হলে অভিনেতা ও সকল কলা কৌশলীদের হাত তালি দিয়ে উৎসাহিত করে সবাই।
এছাড়া নাটক প্রতিযোগিতায় মেডিকেল কলেজের ছাত্র আরাদ ও তার দল উপস্থাপন করে ‘এসিড নিক্ষেপ’, শোভন ও তার দল দেবদাস এবং খালেদ ও তাদের দল ‘একজন বাবার গল্প’ নাটক মঞ্চায়ন করে। প্রতিটি নাটক সমাজের ভাল কাজে সবাইকে উৎসাহ জোগাতে উদ্ধুদ্ধ করে।
এদিকে এই ৪ নাটকের মধ্যে ‘এর শেষ কোথায়’ নাটকটি প্রথম স্থান অর্জন করে। পরে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ডা. রুবাইয়াত ফারজানা হোসেন, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাইফুল ইসলাম অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তাদের পুরুস্কার দেওয়া হয়।
কেআই/এসি