চীনের নার্সরা চুল বিসর্জন দিলেন করোনার সঙ্গে লড়তে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২৫ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার
করোনার চিকিৎসা দিতে গিয়ে চীনে ইতিমধ্যে প্রায় ২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর যাতে এই সংক্রমণটি ছড়িয়ে না পড়ে তার সতর্কতায় চীনের উহানে নার্সদের চুল কেটে দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণের সমস্ত পথ বন্ধ করতেই নারী স্বাস্থ্যকর্মীরা চুল কেটে ফেলছেন বলে জানা গেছে।
গত ডিসেম্বরের শেষদিকে সর্বপ্রথম চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার।
গত প্রায় দু’মাস ধরে উহানের হাসপাতালগুলোতে দিন-রাত জরুরি সেবা দিয়ে চলেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংক্রমণ এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে চলছে কাজ। প্রযুক্তিকেও কাজে লাগিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তা সত্ত্বেও করোনার থাবা থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না তারা। মৃত্যু হচ্ছে চিকিৎসকের, হাসপাতালের ডিরেক্টর ও স্বাস্থ্যকর্মীর। খবর শিনহুয়ার
করোনার প্রথম সনাক্তকারী চিকিৎসক সহ মারা গেছেন ৬ জন ডাক্তার, আর একজন হাসপাতাল পরিচালক। এরপর আর ঝুঁকি নেননি চিকিৎসক ও নার্সরা। সংক্রমণের সমস্ত পথ বন্ধ করতে চুল কেটে ফেলেছেন নারী স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এতে দুটি উপকার হবে বলে মনে করছেন তারা। প্রথমত, চুলের মাধ্যমে প্রাণঘাতী জীবাণুর সংক্রমণ এড়ানো যাবে। দ্বিতীয়ত, হাসপাতালে প্রবেশের পর যে সুরক্ষাবর্ম তাদের পরতে হয়, তা বদল করাও অনেক সহজসাধ্য এবং কম সময়ের মধ্যে হবে।
এ ব্যাপারে ২৬ বছর বয়সী দিং দানি বলেছেন, আমি অনেকদিন ধরেই বড় চুল রাখছি। এতটুকুও কাটতে চাইনি। কিন্তু করোনার সঙ্গে মোকাবিলায় চুল কেটে ফেলাই শ্রেয় মনে করলাম।
এদিকে, নার্স ও ডাক্তারদের এমন বিসর্জন সব জায়গায় প্রশংসিত হচ্ছে।
এএইচ/