৮ দফা দাবিতে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের অনশন
যবিপ্রবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৯:০৬ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারসহ ৮ দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। আজ বুধবার ক্যাম্পাসের শহিদ মিনারে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরতদের দাবি, মঙ্গলবার ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী একরামুল কবীর দ্বীপ এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর দে শুভকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়রা আজমিরা এরিন ও ইসমে আজম শুভকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হলেও তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এ আদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে তারা কোনো শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের এ শাস্তি কার্যকর হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান ও রায়হান উদ্দিনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পূন:ফি (রিটেক ফি) ও বিভিন্ন বিষয়ে বৈষম্যের বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। আজীবন বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী অন্তর দে শুভ অনশনরত অবস্থায় জানান, উপাচার্য আনোয়ার হোসেন স্বৈরাচারী। তার বিভিন্ন অযৌক্তি কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলে, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারীতা-সৈরাচারী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা, ল্যাব রিটেক ও কোর্স রিটেকের জরিমানা বাতিল, মানোন্নয়ন পরীক্ষা চালু, শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিতিকে পুঁজি করে বাণিজ্য বন্ধ করা, রিটেক কোর্সের সিজিপিএ ৪ স্কেলে গণনা করা, নিয়োগের ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া, গত শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিতে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে দোর্ষীদের বিচারের আওতায় আনা।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তারা যে দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছে তার বেশিরভাগই অনেক আগেই মেনে নেয়া হয়েছে। রিটেক ফি ৭৫ শতাংশ মওকুফ করে দেয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে আমাদের গ্রাজুয়েটরা রয়েছেন। তারপরও তাদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে আমরা বিবেচনা করব। তবে আমরা চাই তারা ক্লাসে ফিরে আসুক।’
এমএস/এসি