ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

র‌্যাব দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্র!

প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ৮জনকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৯ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১১:২৯ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন সুমি আক্তার, ইনসেটে প্যানেল চেয়ারম্যান জসিম হাওলাদার- একুশে টেলিভিশন

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন সুমি আক্তার, ইনসেটে প্যানেল চেয়ারম্যান জসিম হাওলাদার- একুশে টেলিভিশন

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিন নেপথ্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন’কে (র‌্যাব) ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতিসহ ৮জনকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হেয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে এমনটি করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্যানেল চেয়ারম্যানের স্ত্রী সুমি আক্তার সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগের কথা জানান। এ সময় র‌্যাবের হাতে আটককৃত ৮ জনের পরিবারের সদস্যরা ও ঘটনাস্থলের বাড়ীর মালিকের উপস্থিতিতে র‌্যাবের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানান। 

লিখিত বক্তব্যে সুমি আক্তার জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত, আমিরাবাদ গ্রামের আওলাদ মৃধার মা সুফিয়া খাতুনের সম্প্রতি মৃত্যুতে আগামী ৬ মার্চ দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি বৈঠক চলছিল। সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জসিম হাওলাদার, ইউপি সাবেক সদস্য জামাল খান, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মিরাজ হাওলাদার, আওলাদের ভগ্নিপতি জলিল তালুকদার, শ্যালক মিজানুর রহমান, বন্ধু সেলিম ও কামরুলসহ নিকটাত্মীয় অংশ নেন। 

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বরিশাল র‌্যাব-৮ এর একটি দলকে খবর দিয়ে ৮জনকে আটক করান। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে আসা চেয়ারম্যানের সোর্স ও মাদকব্যবসায়ী রুহুল আমিন ঘরের মধ্যে ঢুকে র‌্যাবের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই র‌্যাব ৪৭ পিস ইয়াবা এবং বিক্রির ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করেছেন বলে সবাইকে জানায়। ঘটনাস্থল থেকে আটক হওয়া রুহুলের মোটরসাইকেলটি পরের দিন রাতে র‌্যাব সদস্যরা নিয়ে যায়। 

ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনের সঙ্গে প্যানেল চেয়ারম্যান জসিমের বিরোধ চলে আসছিল। জসিম আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীন র‌্যাব দিয়ে নাটক সাজিয়ে নিরাপরাধ ৮ জনকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
 
সুমি আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্নিত হয়ে চেয়ারম্যান শাহীন তাকে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ থেকে কোনঠাসা করে রাখেন। শাহীন নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি এলাকায় মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত। তার বাহিনী এখনো প্রকাশ্য মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমিরাবাদ গ্রামের সালাম মৃধা, জামাল মৃধা ও মাদক কারবারি রুহুল আমিন ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনের লোক। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানাই।’

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। র‌্যাব তাদের কাছে ইয়াবা পেয়েছে। এখানে অন্য কারও হাত থাকতে পারে না। আমি এর সঙ্গে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নই।’

এমএস/এসি