ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

হারানো গ্রামোফোনের সকরুণ সুর

মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ

প্রকাশিত : ০৭:১২ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

গ্রামোফোন বা কলের গান- সংগৃহীত

গ্রামোফোন বা কলের গান- সংগৃহীত

দিনের আলো ফুরানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটি আবার অতীত হয়ে যায়। এক সময় ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়। আবার নতুন করে দিন আসলেও অতীত হবেই। সময়ের ব্যবধানে এক সময় অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। এ হারানোয় বেদনার সুর আছে। যে সুর শাশ্বত। চিরকালীন। এমনই ভাবে প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় এক সময়ে অপরিহার্য বিষয়ও ম্রিয়মান হয়ে যায়। বিলুপ্ত হয়। তেমনি একটি বিষয় হলো গ্রামোফোন বা কলের গান। গ্রামফোন প্রায় হারিয়ে গেছে। সেই সুদিন আর নেই। আধুনিক সিডি ও মেমরির আয়োজনে চাপা পড়েছে কলের গান। তবে কলের গানের কদর আবারও বাড়ছে বলে জানা গেছে। এ বাড়ন্ত অবস্থা আগের মতো হবে না সত্য তবে কিছুটা তো ফিরে আসবে। 

গ্রামোফোন কি?
একে বিভিন্ন নামেও ডাকা হয়ে থাকে যেমন, কলের গান, ফনোগ্রাফ। যন্ত্রের দ্বারা ধারণকৃত শব্দকে বাজানোর জন্য ব্যবহৃত এক প্রকার যন্ত্র। শব্দকে বিশেষভাবে নির্মিত কঠিন মাধ্যমে ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো নির্বাচিত চলমান মাধ্যমের উপর দাগ কেটে বা খোদিত করে শব্দের কম্পাঙ্ককে কোনো রেখা অনুসরণ করে ধারণ করা হয়। পরে ওই চলমান গতি অনুসারে, ওই শব্দধারণকৃত মাধ্যমটিকে ফনোগ্রাফে বাজানো হয়। শব্দ ধারণের মাধ্যমটি চোঙ্গাকৃত বা চাকতির মতো হয়ে থাকে। এই মাধ্যমটি ফনোগ্রাফের নিজস্ব যন্ত্রের সাহায্যে ঘুরানো হয় এবং এর উপরে শব্দরেখার উপর সূঁচালো একটি শলাকার অগ্রভাগ ছুঁয়ে যাওয়ার সময়, শব্দরেখার কম্পাঙ্ককে শনাক্ত করে, শব্দ উৎপন্ন হয়। পরে শব্দ বর্ধক যন্ত্রের সাহায্যে তা জোরালো হয়ে উঠে।

১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত এই ফোনোটোগ্রাফের পিপার মতো অংশটি তৈরি হয়ে প্যারিস অফ প্লাস্টার দ্বারা- সংগৃহীত

এটি আধুনিক রেকর্ড প্লেয়ার, স্টেরিও এবং সিডির পূর্বরূপ। গান শোনার এই যন্ত্রটি চালাতে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগের প্রয়োজন হতো না। হাতল ঘুরিয়ে ভেতরে থাকা স্প্রিং এবং কয়েলের সাহায্যে বিশেষ ব্যবস্থায় এটিকে চালানো হতো। অনেকটা আগের দিনের চাবি দেয়া ঘড়ির মতো। 

ইতিহাস:
শব্দ সংরক্ষণের জনক টমাস আলভা এডিসন। তিনি ১৮৭৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কাঠের বাক্সের ওপর চোঙা লাগানো এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করলেন। যার মধ্যে গোলাকৃতি এক বস্তুর ওপর চাকতির মধ্যে পিন লাগিয়ে ঘোরালে শব্দ উৎপন্ন হয়। এডিসন তার প্রিয় কবিতা ‘মেরি হ্যাড এ লিটল ল্যাম্প’ পাঠ করে রেকর্ডে ভরে উদ্বোধন করলেন যন্ত্রের। নাম দিয়েছিলেন ‘ফনোগ্রাফ।

বছর দশেক পর জার্মানির বিজ্ঞানী বার্নিলার টিনফয়েল আধুনিক করে মোমের রেকর্ড বানিয়ে নাম দেন গ্রামোফোন। তারপর মাটির রেকর্ড থেকে প্লাস্টিকের সুতায় ঘূর্ণন রেকর্ড।

দ্বিতীয় ফনোগ্রাফের সঙ্গে এডিসন, ১৮৮৭- সংগৃহীত

এডিসনের পোষা প্রিয় কুকুরকে গ্রামোফোনের চোঙের সামনে বসিয়ে মনোগ্রাম করে নামকরণ হয় ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’ সংক্ষেপে এইচএমভি। ১৮৯৮ সালে জার্মানিতে গড়ে ওঠে বিশ্বের প্রথম গ্রামোফোন কোম্পানি।

টমাস এডিসন (১৮৪৭-১৯৩১) ১৮৭৭ সালে শব্দযন্ত্র আবিষ্কার করেন এবং তার নাম দেন ফোনোগ্রাফ। ১৮৮৭ সালে এমিল বার্লিনার গ্রামোফোন আবিষ্কার করেন, যা এডিসনের ফোনোগ্রাফেরই উন্নত ব্রিটিশ সংস্করণ। পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে অনেক গ্রামোফোন কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে এডিসনের উন্নত ফনোগ্রাফ- সংগৃহীত

বাংলায় গ্রামোফোন:
বাংলাকে গ্রামোফোন জগতের সঙ্গে পরিচিত করান এফ.ডব্লিউ গেইসবার্গ। তিনি ছিলেন গ্রামোফোন কোম্পানির প্রথম রেকর্ডিং ইঞ্জিনিয়ার। ১৯০০-১৯০৭ সালের মধ্যে তিনি বহুবার কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য স্থান সফর করেন এবং ভারতে এ শব্দধারণ প্রক্রিয়া চালু করার উদ্দেশ্যে গৃহীত তাঁর উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। 
১৯০২ সালে গেইসবার্গ প্রথম একজন ভারতীয় শিল্পীর রেকর্ড তৈরি করেন এবং তিনি হচ্ছেন কলকাতার বাঙালি গওহর জান। সাত ও দশ ইঞ্চি ব্যাসের একটি রেকর্ডে তাঁর গানগুলি ধারণ করা হয়। এ রেকর্ডই তাঁকে অল্পদিনের মধ্যে খ্যাতি এনে দেয়। কলকাতার সব সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় তাঁর ছবি ছাপা হয় এবং এভাবেই ভারত অতিশীঘ্র গ্রামোফোন রেকর্ডের এক বিশাল বাজারে পরিণত হয়। বিশ শতকের প্রথম দশকে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি জনপ্রিয় গ্রামোফোন কোম্পানি হচ্ছে: হিজ মাস্টার’স ভয়েজ (ব্রিটিশ), কলাম্বিয়া (আমেরিকান) এবং পঠে (ফ্রেন্স)।

গ্রামোফোন রেকর্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রথম ভারতীয় উদ্যোক্তা হেমেন্দ্রমোহন বসু ১৯০০ সালে এডিসনকৃত একটি ফোনোগ্রাফ রেকর্ডিং মেশিন সংগ্রহ করেন। পঠে কোম্পানির সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। হেমেন্দ্র হিজ মাস্টার’স ভয়েজ থেকে যন্ত্রপাতি ভাড়া করে স্থানীয় মনীষীদের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করতে থাকেন। পরে তিনি নিজেই কলকাতায় একটি রেকর্ডিং সংস্থা স্থাপন করেন। এই রেকডিং সংস্থা বাংলা, হিন্দি ও উর্দুতে অনেক অনুষ্ঠান ধারণ করে।

১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্সে এই গ্রাফোফোন বিক্রয় করা হয়েছিল- সংগৃহীত

গ্রামোফোন তৈরি ও বাণিজ্যিকীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম উদ্যোক্তা ছিলেন এম.এল শ্ব (মানিকলাল সাহা)। এর আগে তিনি ছিলেন একজন  হারমোনিয়াম নির্মাতা। শ্ব ছিলেন লন্ডনের নিকল ফেরেস লি.-এর নিকল রেকর্ডস ও নিকলফোনের প্রথম ও প্রধান এজেন্ট। শেষ পর্যন্ত তিনি বিখ্যাত ইন্ডিয়ান রেকর্ড ম্যানিউফ্যাকচারিং কোম্পানি লি. প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ শতকের বিশের দশক থেকে গ্রামোফোন ও গ্রামোফোন রেকর্ডস বাঙালি পরিবারের একটি মর্যাদাপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয় এবং এ প্রবণতা পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত অব্যাহত ছিল, যখন স্টেরিও গ্রামোফোনের স্থান দখল করছিল।

গত শতকের ষাটের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে অনেক বনেদী পরিবারে গ্রামোফোন বাজত। এখন পুরনো কয়েকটি পরিবারের ড্রয়িংরুমে শো-পীচের জায়গা দখল করে আছে দু-একটি গ্রামোফোন রেকর্ড। ষাটের দশকে বেতারে গান প্রচারের সময় ঘোষক বলতেন ‘এখন শুনবেন গ্রামোফোন রেকর্ডে গান।’

আন্দামান ও ভারত মহাসাগরকে অতিক্রম করে এই উপমহাদেশে কলের গানের প্রথম আগমন ঘটে ভারতের বোম্বে (মুম্বাই) ও কলকাতায়। তারপর আসে বাংলাদেশে। কে প্রথম গ্রামোফোন আনেন এ নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে ১৮৯৫ সালে স্বামী বিবেকানন্দ তার বন্ধুর কাছ থেকে গ্রামোফোন উপহার পান।

১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সহজবহনযোগ্য ৭৮আরপিএম-এর রেকর্ড-সহ গ্রামোফোন যন্ত্রের নমুনা- সংগৃহীত

কলকাতার বেলিয়াঘাটায় এশিয়ার প্রথম রেকর্ড কারখানা স্থাপিত হয় ১৯০৮ সালের ১৯ জুন। সেখানে গ্রামোফোন যন্ত্র ও খুচরা পার্টসও তৈরি হতো। গান পিপাসুদের জন্য রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, বাংলা গীত, নাটক, কৌতুক সবই রেকর্ড হতে থাকে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের নিজের কণ্ঠের গান রেকর্ড করা হয়।

তখন বেশির ভাগ রেকর্ড ছিল প্রতি মিনিটে ৭৮ বার ঘূর্ণনের। এই রেকর্ডকে বলা হতো ৭৮ আরপিএম (রিভলভিং পার মিনিট)। এইচএমভি, কলাম্বিয়া, টুইন কোম্পানির রেকর্ড চলত বেশি। ঐতিহাসিক পালা সিরাজউদ্দৌলা, চাঁদ সওদাগর, শৈলজানন্দের শহর থেকে দূরে নাটকের রেকর্ড ব্যাপক প্রচার পায়। তবে উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি চলে বাট শেফার্ডের হাসির গানের রেকর্ড। ৫ লাখ কপি বিক্রি হয়। ঐ সময় রেকর্ডের দুই পিঠে একটি করে গান থাকত। দেশে সত্তরের দশকের প্রথমেও রেকর্ড ছিল। ছোট রেকর্ড থেকে তৈরি হলো লং প্লে রেকর্ড। এক রেকর্ডে দুই পিঠে ৭/৮ টি করে গান।

গ্রামোফোনের বদলে এল ৪৫ আরপিএমের (ছোট রেকর্ড) রেকর্ড প্লেয়ার। তারপর অটো রেকর্ড প্লেয়ার, চলত ব্যাটারি ও বিদ্যুতে। সেই সঙ্গে বড় ফিতার স্পুল রেকর্ডার। বলা হতো টেপ রেকর্ডার।

একটি আধুনিক গ্রামোফোন রেকর্ড ও রেকর্ড প্লেয়ারের নমুনা- সংগৃহীত

আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগ পর্যন্ত ছোট ফিতার ক্যাসেট রেকর্ডার। একটি ক্যাসেট এপাশ-ওপাশ মিলে চলত এক ঘণ্টা। গান শোনার ক্যাসেটের সঙ্গে চলে এলো ভিডিও ক্যাসেট। তারপর শব্দ বিজ্ঞানের পালা বদল ঘটতে থাকে সুপারসনিক গতিতে। একবিংশ শতকের প্রথম দিকেও ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল। দ্রুত বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেল ক্যাসেট। এলো কমপ্যাক্ট ডিস্ক (সিডি)। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এলো ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক (ডিভিডি)। গান স্থির ছবি, চলমান ছবি সবই ডিস্কে ধরে রাখার ব্যবস্থা।

বিলুপ্তি হওয়ার ডামাঢোল:
বিবর্তনের পালায় এই ছোট্ট জিনিসও বোঝা হয়ে গেল। হাতের মুঠোয় পেন ড্রাইভে সবই ধরে রাখার ব্যবস্থা করল বিজ্ঞান। এই পেন ড্রাইভ চালাতে লাগে কম্পিউটার। অত সময় কোথায়। পরে বিজ্ঞান সবই ঢুকিয়ে দিল সেল (মোবাইল) ফোনে। হাতের মুঠোয় এখন বিশ্ব। ইন্টারনেটও ভেসে ওঠে সেলফোনে। সেখানে গান শোনা, স্থির ও চলমান ছবি তোলা ও দেখা তো এখন নস্যি। বর্তমান প্রজন্ম চলতে ফিরতে মোবাইলের মনিটরে সবই দেখে। গানও শোনে। মধ্য বয়সীদের সেলফোনেও এখন পুরনো দিনের গান বাজে।

ফিরে আসার খবর:
তবে গ্রামোফোন রেকর্ড নামের পুরোনো একটি প্রযুক্তি ফিরে আসছে। সংগীতে স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ শব্দের অনুসন্ধানীরা ১২ ইঞ্চি মাপের গ্রামোফোন রেকর্ড বা লংপ্লের (এলপি) দ্বারস্থ হতে শুরু করেছেন। এ চিত্র বাংলাদেশ-ভারতসহ সারা বিশ্বে। তবে কি ফিরে আসছে কলের গান? দুই বছর আগেও ঢাকা, কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বাইয়ের ফুটপাতে এলপি বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা দরে। সেই চিত্র এখন আর নেই। এলপি ফুটপাত ছেড়ে অডিও দোকানের তাকে আবার উঠে এসেছে। পুরোনো এলপি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা দরে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন এলপি বাজারে আসছে।

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ‘গানের ডালি’ দোকানের স্বত্বাধিকারী পুরোনো এলপির পরিচর্যা করছেন- সংগৃহীত

আশির দশকের শুরুর দিকে সিডি আসার পর এলপির ব্যবহার কমতে থাকে। ’৯৫ সালের পর এলপির স্থান হয়ে যায় জাদুঘরে। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এর উৎপাদন। পুরোনোর দিকে সংগীত রসিকদের এই ঝোঁক দেখে অডিও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচএমভি (হিজ মাস্টার্স ভয়েস), ইউনিভার্সাল, সনি মিউজিক ও সারেগামা ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে এলপি বাজারজাত করতে শুরু করেছে। দাম হাজার টাকা থেকে চার হাজার পর্যন্ত। বিক্রির উল্লম্ফনটাও বিস্ময়কর। স্ট্যাটিসটিকার (বিভিন্ন বিষয়ে পরিসংখ্যান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সারা বিশ্বে ৩ কোটি ২৫ লাখ এলপি বিক্রি হয়েছে, যা গত ২৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অথচ ২০০৬ সালে বিক্রি ছিল ৩১ লাখ। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এলপি সংগ্রাহকদের বেশির ভাগের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৫ এর মধ্যে।

বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে গ্রামোফোন যন্ত্রে গান শোনার লোকের সংখ্যা এখন তিন শতাধিক হবে। ধীরে হলেও এ সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকার কোথায় গ্রামোফোন পাওয়া যায়:
রাজধানীর একটি জায়গায়ই গ্রামোফোন পাওয়া যায়। গুলশান-১ নম্বর মার্কেট। সেখানে ‘নয়েজ’ নামে একটি দোকানের মালিক সাইদুর রহিম জানান, ২০১৫ সালে সারা বছর গ্রামোফোন যন্ত্র বিক্রি হয়েছিল ৮ থেকে ১০টির মতো। এ বছর এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৩০টির বেশি। ওরিয়েন্ট নামে আরেকটি দোকান থেকে বিক্রি হয়েছে ৮-১০টির মতো। এগুলোর দাম মানভেদে ৩০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত।

এমএস/এসি