লজ্জায় ডুবলো দক্ষিণ আফ্রিকা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার
গত বিশ্বকাপ থেকে কোনোভাবেই যেন কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। একের পর এক হারে ইতিমধ্যে তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ডু প্লেসি।
তবে কুইন্টন ডিকককে দলের দায়িত্ব দেয়ার পরও নতুন করে লজ্জায় ডুবেছে দল। দু’বছর আগে নিজেদের কম রানের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙলেন এবার।
ঘরের মাঠ জোহানবার্গে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮৯ রানে গুটিয়ে গিয়ে ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। যা এ ফরম্যাটে নিজেদের সর্বনিম্ন রান।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া দলপতি ডিকক। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি অজিদের। দলীয় ৪ রানের মাথায় দলের সবচেয়ে মারমুখী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ৪ রানে ডেল স্টেইনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি সময় নেননি অজি ব্যাটসম্যানরা। দলীয় প্রধান অ্যারন ফিন্স ও স্টিভ স্মিথের ৮০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে ৮৪ রানের মাথায় ফিন্স (৪২) প্যাভিলিয়নে ফিরলে রানের গতি কিছুটা কমে যায়।
তারপরও স্টিভ স্মিথের ৪৫ ও শেষের দিকে এসে অ্যাশটন আগারের ৯ বলে ২০ রানের ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর প্রোটিয়াদের সামনে ছুড়ে দেয় অজিরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ২ রানের প্রথম সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক কুইন্টন ডিকক।
অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগারের তোপে এক পর্যায়ে ৪৪ রান তুলতেই প্রোটিয়াদের নেই সাত উইকেট। পথহারানো দক্ষিণ আফ্রিকার তখন হার সময়ের ব্যাপার মাত্র। সে আগুনে ঘি ঢেলে দেন এডাম জাম্পা ও প্যাট কামিন্স।
শেষ পর্যন্ত ৮৯ রানেই আটকে যায় ডু প্লেসিরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান (২৪) করেন তিনি। দল হারে ১০৭ রানের ব্যবধানে। অ্যাশটন আগার ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৪ রান দিয়ে একাই নেন ৫ উইকেট। আর এডাম জাম্পা ও প্যাট কামিন্স নেন দুটি করে উইকেট।
এর মধ্যদিয়ে টি-টোয়েন্টির এ ফরম্যাটে শতরানের নিচে দ্বিতীয়বারের মত অলআউট হল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাও আবার নিজেদের মাটিতে। এর আগে ২০১৮ সালের আগস্টে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো।
এআই/