নাঈমের জোড়া আঘাতে বিপর্যস্ত জিম্বাবুয়ে
নাজমুশ শাহাদাৎ
প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
নাঈম হাসানকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সতীর্থ লিটন ও মুশফিক
মুশফিকের দ্বিশতকে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই বিপর্যয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওভারেই দলটির দুটি উইকেট তুলে নেন স্পিনার নাঈম হাসান। পরপর দুই বলে উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান নাঈম।
আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে জিমাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯ রান। কেভিন কাসুজা ৮ রানে এবং ব্রেণ্ডন টেইলর ১ রানে ক্রিজে আছেন। ফলে এখনও ২৮৬ রান পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। হাতে আছে ৮টি উইকেট।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন প্রিন্স মাসভাউরে (০)। পরের বলেই নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা ত্রিপানোকে (০) লিটন দাসের ক্যাচ বানান তরুণ নাঈম।
২০১৮ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ২১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশি কোনও ব্যাটসম্যানের জন্য সেটাই ছিল সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সেই জিম্বাবুয়েকে সামনে পেয়ে আরেকটা ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মুশফিক।
রেকর্ডগড়া সেই ২১৯ রানের ইনিংসের পরের দশ ইনিংসে সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ফিফটি পেয়েছেন মাত্র দুটি। রানখরা কাটালেন সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। এনদোলোভুর করা ১৫৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছে যান দুইশ রানের ম্যাজিক ফিগারে।
মুশফিকের ডাবলের সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক মোমিনুল হক। যাতে শেষ পর্যন্ত ২০৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মি. ডিপেন্ডেবল। তার ৩১৮ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ছিল ২৮টি চারের মার।
এদিকে, মুশফিকের দ্বিশতক আর মোমিনুলের শতকে (১৩২) বাংলাদেশও পৌঁছে যায় ৬ উইকেটে ৫৬০ রানে। এছাড়া এদিন ৫৪ রান করে আউট হন লিটন দাস। আর তাইজুল অপরাজিত থাকেন ১৪ রান করে।
যাতে ইতোমধ্যেই ২৯৫ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংস করে ২৬৫ রান।
এনএস/