ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

মুশফিকের এক দ্বিশতকে রেকর্ডের ছড়াছড়ি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪১ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার

মুশফিকের এক দ্বিশতকে রেকর্ডের ছড়াছড়ি

মুশফিকের এক দ্বিশতকে রেকর্ডের ছড়াছড়ি

পাকিস্তান সফরে না গেলেও বিএসএলে খেলে হাঁকিয়েছেন শতক। সেই ফর্ম আরও উগলে দিয়েছেন চলতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে জিম্বাবুয়ে বোলারদের কচুকাটা করছেন মুশফিক। তাদেরকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে মিস্টার ডিপেন্ডেবল তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক। শেষ বিকেলে যা রূপ দিলেন দ্বিশতকে। এ নিয়ে তৃতীয়বার সাদা পোশাকে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন মুশফিক। শতকের মতো দ্বিশতকও তিনি ছুঁয়েছেন বাউন্ডারি হাঁকিয়েই। তার উদযাপনটাও হলো দেখার মতো। নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে ব্যাট দিয়ে হাওয়ায় শট নিলেন মুশি।
 
এমনটা করেছিলেন সেঞ্চুরি পরও। কিন্তু দ্বিশতকের উপদযাপন চলল অনেকক্ষণ ধরে। ব্যাট-হেলমেট মাটিতে রেখে দুই হাত উপরে তুলে দিয়ে খামচে দিলেন; মুখে যেন বাঘের হিংস্রতা। উচ্ছ্বাসের শেষ পর্বে সিজদাহ দিয়েছেন মুশি। পাকিস্তান সফরে না যাওয়ায় তাকে ঘিরে যে সমালোচনা-বিতর্কের যে ঝড় উঠেছিল তার জবাব ব্যাট হাতেই দিলেন তিনি।

এদিকে, আগের সবকটি শতক ও দ্বিশতক ছিল উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ভূমিকায়। কিন্তু আজ মুশি দুটোরই স্বাদ পেলেন শুধু ব্যাটসম্যানের ভূমিকায়। নানা সমালোচনার মাঝে গত অক্টোবরেই উইকেটের পেছন থেকে সরে দাঁড়ান মুশফিক। ভারত সফরে করেন দুই হাফসেঞ্চুরি। চাপ কমিয়ে নির্ভার হওয়া মুশি একবার তো সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও হোঁচট খেয়েছিলেন আট রানের জন্য।

সেই হতাশা আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে কাটিয়ে উঠলেন। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার করলেন দ্বিশতক। তার অন্য ডাবল সেঞ্চুরিটা ছিল ২০১৩ সালের মার্চে। গল টেস্টে কাঁটায় কাঁটায় দুশো রানে আউট হয়েছিলেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুবারই অজেয় থাকলেন মুশি। প্রথমবার ২১৯ রানে অপরাজিত থাকা মুশি এবার নট আউট ২০৩ রানে।

ছয় উইকেটে ৫৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক মোমিনুল হক। রাজসিক ইনিংসটা খেলার পথে মুশি সবচেয়ে বড় সঙ্গটা পেয়েছেন অধিনায়কের কাছ থেকেই। মোমিনুলকে নিয়ে গড়েন চতুর্থ উইকেটে ২২২ রানে জুটি। দুজনের আগের সর্বোচ্চ জুটিটা ছিল ২৬৬ রানের। সেটাও এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে; ২০১৮ সালে।

সেই টেস্টে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। আজ হলো দ্বিশতকের হ্যাটট্রিক। বাংলাদেশে আর কারোরই দুটি দ্বিশতক নেই। একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি আছে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের। সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির হিসেবে মুশফিকের চেয়ে দুজনের শতক আছে বেশি। 

আজ তামিমের সমান নবম সেঞ্চুরি করেছেন মোমিনুল। ছয়টি শতক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের ৬ সেঞ্চুরি।

এদিন মুশফিক শতক ছুঁয়েছেন ১৮ বাউন্ডারিতে ১৬০ বলে। দ্বিশতক ছুঁয়েছেন ৩১৫ বলে ২৮ বাউন্ডারিতে। সময়ের হিসেবে মোট ৪৩৪ মিনিট। এই ইনিংস খেলার পথে মুশফিক ছাড়িয়ে গেলেন টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিমকে (৪৪০৫)। মুমিনুলকে নিয়ে ভেঙেছেন তামিম-ইমরুলের ডাবল সেঞ্চুরির দুই জুটিকে। মুশি-মুমিনুলের এটা তৃতীয় দ্বিশতক জুটি। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের দুই শ ছোঁয়া জুটি হলো ১০টি। যার পাঁচটিতেই থাকলেন মুশফিক।

এনএস/