ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

অসহায় জিম্বাবুয়ে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:৪৭ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

মুশফিকের দ্বিশতকে রানের পাহাড় গড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ দিনের শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। 

দ্বিতীয় ইনিংসে গতকালের ২ উইকেটে ৯ রান নিয়ে আজ মঙ্গলবার ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের আঘাতে খেয়েই হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। 

এদিন দলে ৬ রান যোগ করতেই আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। কেভিন কাসুজাকে (১০) সাজঘরে ফেরান তিনি। 

এতে করে চাপে থেকেই দিন শুরু করতে হয় সফরকারীদের। তার কিছুক্ষণ পরই চতুর্থ দিনে নিজের প্রথম ওভার করতে এসে আঘাত হানেন গতকালের দুই উইকেট পাওয়া নাঈম হাসান। এবারও তার শিকার হন অভিজ্ঞ টেইলর। 

দলীয় ৪৪ রানের মাথায় নাঈমের বলে তাইজুলের তালুবন্দি হয়ে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যানের। 

এ নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটের তিনটিই নাঈমের ঝুলিতে। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন চার চারটি উইকেট।  
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া সফরকারীদের দলপতি ক্রেগ এরভিন। তবে তাকেও বেশিদূর যেতে দেয়নি মোমিনুল হকরা। 

দলীয় ১০৪ রানের মাথায় টাইগার অধিনায়ক মোমিনুলের থ্রোতে স্ট্যাম্প ভাঙ্গে এরভিনের। মাঠ ছাড়ার আগে এক ছয় আর ৬ চারে ৪৩ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি। 

এরপর তাইজুলের ঘুর্ণিতে মুশফিকুর রহিমের হাতে তালুবন্দী হন সিকান্দার রাজা। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩৭ রান করেন।

এর আগে মোমিনুল-মুশফিকদের রেকর্ড গড়ার দিনে গতকাল শেষ বিকেলে খেলতে নেমে শূন্যরানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। 

প্রথম ওভারেই দলটির দুটি উইকেট তুলে নেন স্পিনার নাঈম হাসান। পরপর দুই বলে উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান নাঈম। তবে টেইলর তাকে সামাল দেন। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৯ রান। ক্রিজে রেগিস চাকাব্বা ৭ ও টিমিসেন মারুমা ২১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। 

২০১৮ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ২১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশি কোনও ব্যাটসম্যানের জন্য সেটাই ছিল সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সেই জিম্বাবুয়েকে সামনে পেয়ে আরেকটা ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক।

রেকর্ডগড়া সেই ২১৯ রানের ইনিংসের পরের দশ ইনিংসে সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ফিফটি পেয়েছেন মাত্র দুটি। রানখরা কাটালেন সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। এনদোলোভুর করা ১৫৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছে যান দুইশ রানের ম্যাজিক ফিগারে। 

মুশফিকের ডাবলের সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক মোমিনুল হক। যাতে শেষ পর্যন্ত ২০৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মি. ডিপেন্ডেবল। তার ৩১৮ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ছিল ২৮টি চারের মার।  

এদিকে, মুশফিকের দ্বিশতক আর মোমিনুলের শতকে (১৩২) বাংলাদেশও পৌঁছে যায় ৬ উইকেটে ৫৬০ রানে। এছাড়া এদিন ৫৪ রান করে আউট হন লিটন দাস। আর তাইজুল অপরাজিত থাকেন ১৪ রান করে।

যাতে ২৯৫ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংস করে ২৬৫ রান।

এআই/