দিল্লির সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৩
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৮ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৫৩ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
দিল্লির রাস্তায় টহল পুলিশ। ছবি: পিটিআই
সারাদিন উত্তপ্ত অবস্থায় কেটেছে দিল্লি। সংঘর্ষের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। আহত হয়েছে এক শিশু সহ ১৫০ জন। দিনভর রাজধানীতে লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ এবং গাড়ি ভাঙচুরের তাণ্ডব চলেছে।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলছে, ঠিক তখনই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে রইল উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন এলাকা। বিভিন্ন বিল্ডিং থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছে, এবং নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে ও বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের তিনদিনে রাস্তায় পড়ে থাকে লাঠি, ভাঙা কাঁচের টুকরো। জানিয়েছে এনডিটিভি
দেশের রাজধানীর এই এলাকা পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে, এদিকে, বুধবারই ছিল সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এই সময়ে, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, এদিন সন্ধ্যায় তাদের অবশ্য মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে। ছবিতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে দেখা গিয়েছে, এবং চাঁদবাগ ও ভজনপুরা এলাকায় বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের ছবিও ধরা পড়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় জানায় যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, মঙ্গলবারও সেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এমনকী, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা নামানোর প্রস্তাবও বাতিল করে দেওয়া হয়। মন্ত্রনালয়ের তরফে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, অল্প সংখ্যক পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়ছে বিক্ষোভকারীরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্যের বিপরীত সুর শোনা গিয়েছে দিল্লি পুলিশ আধিকারিকের গলায়, তিনি “অপর্যাপ্ত বাহিনী”র কথা বলেন, সোমবার তারপরেই পরিস্থিতি ব্যাপক আকার নেয়, বিষয়টি দিল্লি পুলিশ আধিকারিক অমূল্য পট্টনায়েকের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানানো হয়েছে বলে ওই আধিকারিক জানান। যদিও, দিল্লি পুলিশ কমিশনার রিপোর্ট বাতিল করার কয়েকঘন্টা পরেই, মন্ত্রকের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন তাঁরা। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৬,৭০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, রবিবার মোতায়েন করা হয়েছিল ২,০০০ পুলিশ কর্মী।
রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির সমাধিতে প্রার্থনা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মানুষকে হিংসা বন্ধ করার আর্জি জানান তিনি, এবং মন্দির ও মসজিদগুলিকেও শান্তির আহ্বানের জন্য বার্তা দেন। উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, এবং অন্যান্য আপ নেতারা বলেন, দেশের রাজধানীতে “দৈত্য” ঢুকে পড়েছে।
এসি