দিল্লিতে সংঘাতে নিহত বেড়ে ২৩
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৫:০৭ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার
রাজধানী দিল্লিতে মৃত্যুমিছিল আটকানো যাচ্ছে না, বেড়েই চলেছে। বুধবার সকালে আরও ৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে সেখান থেকে। তাতে চার দিনের মাথায় সেখানে মৃত্যুসংখ্যা গিয়ে দাাঁড়ালো ২৩ এ। আহতের সংখ্যাও ২০০-র কাছাকাছি। খবর আনন্দবাজারের
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩। এ দিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও চার জনকে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এমডি সুনীলকুমার গৌতম। বেলা বাড়লে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। দুপুরে চাঁদ বাগ থেকে এক গোয়েন্দা অফিসারের দেহ উদ্ধার হয়।
মৃত্যুসংখ্যা লাফিয়ে বাড়ার পাশাপাশি, এখনও দিল্লিতে হিংসা অব্যাহত। এ দিন ভোর সাড়ে ৪টে থেকে নাগাদ নতুন করে পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয় উত্তর-পূর্বের ব্রহ্মপুরী-মুস্তাফাবাদ এলাকায়। গোকুলপুরীতে একটি পুরনো জিনিসপত্রের দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ দিন জোহরিপুরায় ফ্ল্যাগমার্চ করে পুলিশ। গোকুলপুরীর ভাগীরথী বিহার এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চ করে সিআরপিএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। সীলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরী-তে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এ দিন দিল্লি পুলিশের তরফে চারটি হাসপাতালে মোতায়েন পুলিশ অফিসারদের ফোন নাম্বারও প্রকাশ করা হয়, যাতে আহতদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারেন সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই তৃতীয়বার দিল্লি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। তার পরেই রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রথমে সীলামপুরে যান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পরে জাফরাবাদ, মৌজপুর-সহ উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান তিনি। দুপুরে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটিকে (সিসিএস) এ নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট দেবেন।
এসি