ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শেখ হাসিনার প্রশংসা চীনা প্রেসিডেন্টের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চীনকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া চিঠির জন্য সাধুবাদ জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং বলেছেন, চীনের প্রতি বাংলাদেশ ‘বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতি’ দেখিয়েছে।

সি চিনপিং গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) তার প্রশংসা বার্তায় বলেন, ‘চীনের প্রতি বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ যে বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতি পোষণ করে, যা আপনার চিঠিতে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তার জন্য কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না (সিপিসি), চীনা সরকার ও চীনা জনগণের পক্ষ থেকে আমি সাধুবাদ জানাতে চাই।’ 

‘আপনার (শেখ হাসিনার) সহমর্মিতা এবং সমর্থনের চিঠি এক লক্ষণীয় সময়ে এসেছে যখন চীন নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট এবং সিপিসির সাধারণ সম্পাদক সি চিনপিংয়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন যে ভাইরাস আক্রান্তদের দুর্দশা লাঘবে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে বাংলাদেশ সরকার প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ চীনের জনগণ ও সরকারের সাথে রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী চীনের উহান শহর ও অন্যান্য স্থানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এ দুঃখজনক মুহূর্তে চীনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভালোভাবে দেখভাল করায় সি চিনপিংকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করেন যে সি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে চীন সরকার সর্বোচ্চ দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণের সাথে পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলা এবং সংক্রমণ থামাতে সক্ষম হবে।

চীনা প্রেসিডেন্টও তার বার্তায় বলেন, ‘চীন পুরো জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিয়ে সাড়া দিয়েছে এবং সর্বাধিক ব্যাপক, কঠোর এবং নিখুঁত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এসব শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টার কল্যাণে মহামারির যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এ মহামারি আটকানো এবং প্রশমন করার জন্য আমাদের পূর্ণ আস্থা, সামর্থ্য ও সংকল্প রয়েছে।’

এ বছরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চীন কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মহামারিতে চীনের জোরালো সাড়াদানের মানে শুধু চীনা জনগণের জীবন, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের সুরক্ষাই নয়, সেই সাথে বিশ্ব জনস্বাস্থ্যে অবদান রাখা।’

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক সম্প্রসারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন উল্লেখ করে সি চিনপিং বলেন, ‘আমরা চীনে মুজিব বর্ষ উদযাপনে আগ্রহের সাথে নজর রাখছি এবং আপনার পরিপূর্ণ সফলতা কামনা করি।’

এমএস/এসি