ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সৌম্যের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ২ জন গ্রেফতার!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

বিয়ের অনুষ্ঠানে সৌম্য ও প্রিয়ন্তি

বিয়ের অনুষ্ঠানে সৌম্য ও প্রিয়ন্তি

জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে খুলনা নগরীর অভিজাত খুলনা ক্লাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই অলরাউন্ডার। 

খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন সৌম্য সরকার। পূজার বাবা গোপাল দেবনাথ পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা মাধবী দেবনাথ একজন গৃহিণী। তাদের বাড়ি খুলনার টুটপাড়া শহরে।

কিন্তু এমনই আনন্দঘন মুহূর্তে ঘটে যায় এক অপ্রীতিকর ঘটনাও। যার ফলে বিয়ের অনুষ্ঠান কিছুক্ষণের জন্য রূপ নেয় বিষাদে। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেও নিয়ে যায় পুলিশ।

অনুষ্ঠানে মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় হইচই। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এমনকি মারধরের শিকার হন সৌম্যের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন রাত ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলে এই অবস্থা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

সৌম্যর পরিবারের সদস্যরা জানান, গেট দিয়ে ভেতরে ঢোকার সময় প্রচণ্ড ভিড়ে বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্রের একটি মোবাইল চুরি হয়। পরে সৌম্যের বাবা কিশোরী মোহন সরকার ও বন্ধু অলিসহ বরযাত্রীদের আরও ছয়টি মোবাইল চুরি হয়। 

এরপর সৌম্যের মেজো ভাই ইনকাম ট্যাক্সের ডেপুটি কমিশনার প্রণব কুমার সরকার মোবাইল চুরির বিষয়ে ক্লাবের কর্মচারীদের অবহিত করেন এবং কে বা কারা মোবাইল চুরি করেছে তা ধরার চেষ্টা করেন। 

এ সময় ক্লাবের কয়েকজন কর্মচারী (চোরের পক্ষ হয়ে) বরযাত্রীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং কয়েক দফায় হামলা চালান। এতে সৌম্যের ভাই প্রণব ও অলিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য থমকে যায়। তবে বর সৌম্য তখন সাত পাকে ঘুরছিলেন, বিধায় ঘটনাস্থলে আসতে পারেননি।

এ বিষয়ে সৌম্যের মামা স্বদেশ কুমার সরকার জানান, চুরি যাওয়ার পর আত্মীয়-স্বজনরা ওই মোবাইলগুলোতে কল দিতে থাকেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজনের কাছে মোবাইল বেজে উঠলে তাকে ধরে ফেলেন স্বজনরা। পরে তার কাছে চুরি যাওয়া মোট পাঁচটি মোবাইল পাওয়া যায়। এ নিয়ে কথা বলতে গেলেই ক্লাবের কর্মচারীদের সঙ্গে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রথমেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখলে ক্লাবের কর্মচারীদের হাতে সৌম্যের স্বজনদের মারধরের শিকার হতে হতো না।

এদিকে, এ ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ খুলনা ক্লাবে অবস্থান নেয়। পরে দীর্ঘ সময় সৌম্যের অভিভাবদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ ও ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা।

এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে বরযাত্রী ও খুলনা ক্লাবের কর্মচারীদের মধ্যে ঝগড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। ভিড়ের মধ্যে হয়তো কারও কারও গায়ে একটু ধাক্কা লাগতে পারে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় দুই চোরকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এনএস/