ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দিল্লির সহিংসতায় ঢাকায় বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, মসজিদ, মাদ্রাসায় আগুন ও দিল্লিতে সহিংসতায় ৪২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশের সমমাননা ইসলামী দলগুলো।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। এসময় আসন্ন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে না আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় দলগুলো।

বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সমমনা ইসলামি দলগুলোর নেতা, হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘দিল্লিতে মুসলমানদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে কোনও  নিরাপত্তা নেই। আগুন দিয়ে মসজিদ পোড়ানো হচ্ছে। মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চলছে। অনতিবিলম্বে এই নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হোক।’

জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ সম্প্রীতির দেশ। এখানে হিন্দু ও  মুসলমানরা শান্তিতে বসবাস করেন। কেউ কারও ওপর আক্রমণ করে না। আমরা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি না। আমাদের দেশে মোদি আসলে সম্প্রীতি নষ্ট হবে। তাই মোদিকে এদেশে আসতে দেওয়া যাবে না। তাকে আসতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হবে।’ 

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের এ নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমি অনুরোধ করব, অনতিবিলম্বে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আসার দাওয়াত নাকচ করে দেন। তা যদি করতে ব্যর্থ হন, তাহলে এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না। প্রয়োজনে বিমানবন্দর ঘেরাও করতে বাধ্য হবে। তবুও কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘এ ভারতকে মুসলমানরাই স্বাধীন করেছে। আর আজকে সেই মুসলমানদের সঙ্গে মোদি সরকার নিপীড়ন নির্যাতনমূলক আচরণ করছে। অথচ তারা নিজেরাই ছিলেন ইংরেজদের দালাল। সেই দালাল গোষ্ঠীই আজকে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।’

কাসেমী বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, অনতিবিলম্বে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করা হোক। আমি মুসলিম ভাইদের বলব, আমরা মুসলমানরা সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী, সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী না। তাই এ দেশে কোনো মুসলিম অমুসলিমের ওপর আঘাত করব না। আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী, সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। সেটা যেন আমরা বহাল রাখতে পারি। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আমরা এ দেশে খুনি মোদিকে আসতে দেব। কোনোভাবেই খুনি মোদি যেন দেশে ঢুকতে না পারে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর নেতৃস্থানীয় বক্তাদের কণ্ঠেও একই রকম বক্তব্য উঠে আসে। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিশাল মিছিল বের হয়। যা বাইতুল মোকাররম সংলগ্ন ও পল্টন এলাকার সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
 
এদিকে দিল্লির এ সহিংসতার প্রতিবাদে রাজধানী ছাড়াও দেশের কয়েকটি জেলায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে ইসলামী দলগুলো।

এআই/এসি