ভোটের দিন সাধারণ ছুটি না রাখার চিন্তা ইসির
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘শুধু স্কুল-কলেজ ছুটি দিয়ে এবং অফিস-আদালত খোলা রেখে নির্বাচন করা যায় কি না তা ভেবে দেখছে কমিশন। আর সেজন্য ঢাকা- ১০ আসনের উপ-নির্বাচনে এভাবে নির্বাচন করে মডেল দাঁড় করানোর চিন্তা করছে কমিশন।’
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরশন নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই নিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।
দেশের সব নির্বাচনেই ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিগত কয়েকটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশ কম পরিলক্ষিত হয়। মূলত ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে নির্বাচনের দিন আর সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, আগামী ২৯ মার্চ চসিক ভোটের আগে বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবস এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় টানা চারদিনের ছুটি থাকবে চট্টগ্রামে। আর এ কারণে ভোট দুই দিন পেছানোর পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
কিন্তু নির্বাচন পেছানোর কোনও সুযোগ নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা, এরপর রোজা। আর দ্বিতীয় অপশন আছে, বর্ষার মধ্যে নির্বাচন করার। কিন্তু বর্ষার সময়ে চট্টগ্রামে নির্বাচন করার কথা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।’
ইসি রফিকুল বলেন, ‘বর্ষার সময় চট্টগ্রামের রাস্তাঘাট ডুবে থাকে। যেহেতু হাই কোর্ট লেমিনেটেড বা প্লাস্টিক মোড়ানো পোস্টার লাগাতে নিষেধ করে দিয়েছে, আমরা যদি বর্ষার মধ্যে নির্বাচন করতে চাই, তাহলে প্রার্থীরা কোনও প্রচার করতে পারবে না।’
অন্যদিকে, সেনা মোতায়েনের দাবি উড়িয়ে দিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কখনও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় না। তবে ইভিএম পরিচালনায় কমিশনকে সহায়তার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুজন করে সেনা সদস্য উপস্থিত থাকবেন।
এনএস/