ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মোংলা বন্দর জেটিতে পণ্য খালাস নিয়ে তোলপাড়

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ১ মার্চ ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৩:৩৬ পিএম, ১ মার্চ ২০২০ রবিবার

মোংলা বন্দর। ছবি: একুশে টেলিভিশন

মোংলা বন্দর। ছবি: একুশে টেলিভিশন

মোংলা বন্দরের জেটিতে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ফর্কক্লিপ দিয়ে পণ্য খালাস-বোঝাইয়ের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ম ভেঙ্গে বহিরাগত শ্রমিক দিয়ে কন্টেইনারে পণ্য খালাস-বোঝাই করেন নাজিমুল হক নামে এক ক্রেন হেলপার। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বন্দরের ট্রাফিক পরিচালক নাজেহালও হয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও বন্দর জেটিতে বহিরাগত শ্রমিক দিয়ে কার্যক্রম চালানোর কোন বিধান নাই। 

গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বন্দর জেটির চার নাম্বার ইয়ার্ডে ফর্কক্লিপ দিয়ে পণ্য খালাস-বোঝাইয়ের কাজ করছিল বহিরাগত শ্রমিক শুকুর হাওলাদার। ক্রেন হেলপার নাজিমুল হক কাজে ফাঁকি দিতেই বহিরাগত ওই শ্রমিককে দিয়ে এ কাজ করিয়েছেন বলেও বন্দরের ট্রাফিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। সে প্রায়ই কাজে ফাঁকি দিতে এ রকম ঘটনা ঘটায় বলেও সূত্রটির দাবি। 

ক্রেন হেলপার নাজিমুল হকের দাবি, ঘটনার দিন আমি অসুস্থ ছিলাম, তাই অন্য লোক দিয়ে কাজটি করিয়েছি। নিউজ করলে করেন, আমার পক্ষে আমার (সিবিএ) নেতারা আছেন।  

এদিকে এ ঘটনায় মোংলা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বন্দর আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে তাতে বাধা দেন বন্দরের সিবিএ মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ (সিবিএ) নেতারা। তারা ক্রেন হেলপার নাজিমুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে ঘটনার দিন ট্রাফিক পরিচালক মোস্তফা কামালের অফিস কক্ষে ঢুকে অসৌজন্যমূলক আচারণ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। 

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ট্রাফিক পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এ ঘটনা আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জানিয়েছি।’

তবে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, সেদিন কোন অসৌজন্যমূলক আচরণ হয়নি, ‘কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব করতে গেলে তাদের পক্ষে কথা বলতে হয়।’ বরং ট্রাফিক পরিচালকই আমাদের সঙ্গে চরম দূর্ব্যবহার করেছেন বলে তিনি জানান। 

এদিকে বন্দর জেটিতে বিভিন্ন সময়ে কন্টেইনার থেকে পণ্য চুরি হওয়ার পেছনে বহিরাগত শ্রমিক দিয়ে কাজ করাকে দায়ী করেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু এন্ড সন্সের মালিক এইচ এম দুলাল বলেন, বন্দর জেটিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কিভাবে বহিরাগত শ্রমিক ঢুকে বন্দরের মূল্যবান যন্ত্রপাতি চালায়? এ জন্যই মূলত বিভিন্ন সময়ে জেটি থেকে একের পর এক মূল্যবান মালামাল খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এসবের বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হতে হবে বলেও জানান তিনি।  

এএইচ/