সোনার বাংলা গড়তে দরকার ত্যাগী মানুষ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪৮ পিএম, ১ মার্চ ২০২০ রবিবার
`জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যে দরকার ত্যাগী মানুষ। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদাতারা হলেন এমনই ত্যাগী মানুষ।
রক্ত দিয়ে মানুষের জীবন রক্ষা করা—এমন ত্যাগের সুযোগ সবার হয় না। ইতোমধ্যে জেনেছি, গত ২০ বছরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ১১ লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত সরবরাহের কাজ করেছে। ২০১৯-এ সারাবছরে তাদের সরবরাহ ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ইউনিট। অর্থাৎ দেশের চাহিদার সাত ভাগের একভাগ। এ অর্জনের জন্যে আমরা সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম আয়োজিত ১৫৬ তম শত আজীবন রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান।
ন্যূনতম তিন বার রক্তদান করেছেন এমন ১৩৫ জন ডোনারকে সম্মাননা সার্টিফিকেট, আইডি কার্ড ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এ অনুষ্ঠানে। এছাড়াও ১০ বার রক্তদান করেছেন এমন পাঁচ জনকে স্মারক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার্থে অপরিহার্য রক্ত উপাদান ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা (এফএফপি) নিয়মিত সরবরাহ করে তাদের বাঁচতে সাহায্য করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এর পাশাপাশি কোয়ান্টামের তত্ত্বাবধানে বান্দরবান জেলার লামায় বঞ্চিত শিশুদের একটি স্কুল রয়েছে, যেটি জাতীয় পর্যায় বহু সুনাম অর্জন করেছে। গত পাঁচ বছর ধরে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এ শিশুরা।
এছাড়াও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, মনোদৈহিক রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম মেথড কোর্স করে লাখো মানুষ উপকৃত হচ্ছে। রোগ নিরাময়ে আজ এটি বহুল ব্যবহৃত চিকিৎসাপদ্ধতি। আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, আমি নিজেও একজন কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েট। মালয়েশিয়া প্রবাসী আমার বড় মেয়ে একজন স্বেচ্ছা রক্তদাতা এবং সে ১০ বার রক্তদান করেছে। যারা স্বেচ্ছা রক্তদাতা, তাদের রক্তদানের এ যাত্রা যেন অব্যাহত থাকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যাংকিং কনসালটেন্ট বাবু সুকুমার চক্রবর্তী। তিনি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘রক্তদান শ্রেষ্ঠ দান। কোনো প্রত্যাশা ছাড়া দান, তাই এটি সাত্ত্বিক দান। এর প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা মানুষের নেই। স্রষ্টাই এর উত্তম প্রতিদান দেবেন।’
আরকে//