ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

আমরা উভয়ই বিশ্বশান্তি চাই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৭ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:১৭ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ছবি: সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ছবি: সংগৃহীত

সোভিয়েত সরকারের আমন্ত্রণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১ থেকে ৫ মার্চ সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করেন। পাঁচ দিনব্যাপী সরকারি শুভেচ্ছা সফরকালে লেনিনগ্রাদের মেয়রের দেওয়া সংবর্ধনা সভায় প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, বাংলাদেশ ও সোভিয়েত জনগণ বিশ্বশান্তি চায়। শোষণ মুক্তির জন্য উভয় জনতা সমাজতন্ত্র কায়েমের সংগ্রাম করেছে। 

দু’দেশের জনগণের মধ্যকার সাদৃশ্য ও সামঞ্জস্যের উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ দু’দেশের জনতা এগিয়ে এসেছে। ঘাতক দুশমনের কব্জা থেকে মুক্তির জন্য উভয় জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে।

বঙ্গবন্ধু বলেন, দু’দেশের জনতার মতামতের ক্ষেত্রে আরেকটি সাদৃশ্য হচ্ছে, তারা বিশ্বশান্তি কামনা করে। তিনি বলেন, মতামতের এই সাদৃশ্য আমাদের বন্ধুত্বকে করেছে জোরদার। তিনি উল্লেখ করেন, দু’দেশের মধ্যকার মৈত্রী একটি নীতিমালার উপর প্রতিষ্ঠিত।

এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, লেনিনের নেতৃত্বে লেনিনগ্রাদে সোভিয়েত জনতা কর্তৃক পরিচালিত বিপ্লবী সংগ্রাম বাংলাদেশের জনগণকে সামরিক একনায়কতন্ত্রের কবল থেকে স্বদেশভূমিকে মুক্ত করার সংগ্রামে উদ্দীপ্ত করেছে।

বঙ্গবন্ধু দৃঢ় আশা পোষণ করেন যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সক্রিয় সহযোগিতায় বাংলাদেশ তার পঙ্গু অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করে নিতে সমর্থ হবে। তিনি বলেন, এ বিপুলনায়তন পুননির্মাণ কর্মধারায় সোভিয়েত ইউনিয়নের অমূল্য অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সোভিয়েতের সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেন, আমাকে আটক করার বিরুদ্ধে সোভিয়েত জনগণ ও সরকারের প্রতিবাদ পাকিস্তান সরকারকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলেছিল, ফলে ফাঁসি মঞ্চে আমাকে ঝুলতে হয়নি।

বাংলাদেশের জনগণের বীরোচিত সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে লেনিনগ্রাদের মেয়র বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে জনগণের সংহতি এবং পার্টি সংগঠনের উপর জনগণের আস্থার দরুন অনন্যসাধারণ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী মি. কোসিগিনও এ অভ্যর্থনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র : এই দেশ এই মাটি গ্রন্থ।

এএইচ/