শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২৮ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৩৭ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার
বাংলাদেশ যখন ৩২২ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করালো, তখন সবাই ভেবেছিল হেসেখেলেই জয় আসবে। কিন্তু জিম্বাবুয়ের ডোনাল্ড তিরিপানোর ছয়-ছক্কার মারে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হতে বসেছিল টাইগারদের। জিম্বাবুয়ে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেল। তবে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশই। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৪ রানে জয় নিয়ে স্বাগতিকরা সিরিজ জিতে নিল এক ম্যাচ বাকি থাকতেই।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শ্বাসরুদ্ধকর এ ম্যাচে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও জয় পেতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তামিম ইকবালের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের ইনিংস প্রায় মাটিই হতে বসেছিল। তিরিপানোর শেষ দিকে তার ২৮ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ৩১৮ রানে।
জিম্বাবুয়ের লোয়ার অর্ডারের ডোনাল্ড তিরিপানো আর তিনোতেন্দা মুতুমবজি ছয়-ছক্কার মারে ম্যাচ প্রায় ঘুরিয়েই দিচ্ছিলেন! অষ্টম উইকেটে এই যুগল দশের ওপর রানরেটে খেলে দলকে জয়ের বেশ কাছে নিয়ে আসেন। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। শফিউল ইসলামের করা ৪৯তম ওভারে ২ বাউন্ডারিসহ ১৪ রান তুলে নেন তিরিপানো-মুতুমবজি।
শেষ ওভারে দরকার ২০ রান, খুবই সম্ভব। আল আমিন হোসেন আসেন শেষ ওভারটি করতে, যিনি আবার ৯ ওভারে কোনো উইকেট না নিয়ে ৭০ রান দিয়ে দেন আগে।
আল আমিনের শেষ ওভারে শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। প্রথম বলে দিয়েছিলেন এক রান, পরের ডেলিভারি ওয়াইড দিলেও দ্বিতীয় বলে মুতুমবজিকে (২১ বলে ৩৪) লং অনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন এই পেসার।
কিন্তু তৃতীয় বলে বড় এক ছক্কা হাঁকিয়ে দেন তিরিপানো। চতুর্থ বলে আবারও ছক্কা। শেষ দুই বলে দরকার তখন মাত্র ৬ রান। এমন মুহূর্তে পঞ্চম বলটি দারুণ বুদ্ধিমত্তায় বাউন্সার দেন আল আমিন, চলে যায় উইকেটের পেছনে।
শেষ বলে জিম্বাবুয়ের চাই ছক্কা, স্ট্রাইকে সেট ব্যাটসম্যান তিরিপানো। তখনও সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ওই বলটি আর আকাশে তুলতে পারলেন না তিরিপানো, এক রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো জিম্বাবুয়েকে। ট্রাজেডি নায়ক হয়ে রইলেন ২৮ বলে ২ চার আর ৫ ছক্কায় ৫৫ রান করা তিরিপানো।
অথচ রান তাড়ায় নেমে একশ রান পার হতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল জিম্বাবুয়ে। ২২৫ রানের মধ্যে হারায় ৭ উইকেট। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য এক লড়াই তিরিপানো-মুতুমবজির। যদিও শেষ রক্ষা হলো না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২২/৮ (তামিম ১৫৮, লিটন ৯, শান্ত ৬, মুশফিক ৫৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১, মিঠুন ৩২*, মিরাজ ৫, মাশরাফি ১, তাইজুল ০, শফিউল ৫*; মুম্বা ১০-০-৬৪-২, টিশুমা ৫-০-৩৫-১, টিরিপানো ৮-০-৫৫-২, মাধেভেরে ৭-০-৩৮-১, রাজা ১০-০-৫৯-০, উইলিয়ামস ৭-০-৩৫-০, মাটুমবোদজি ৩-০-৩৪-০)
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ৩১৮/৮ (কামুনহুকামউই ৫১, চাকাভা ২, টেইলর ১১, উইলিয়ামস ১৪, মাধেভেরে ৫২, রাজা ৬৬, মুতুমবামি ১৯, মাটুমবোদজি ৩৪, টিরিপানো ৫৫*, মুম্বা ০*; মাশরাফি ১০-০-৫২-১, শফিউল ৯-০-৭৬-১, মিরাজ ৭-০-২৫-১, আল আমিন ১০-০-৮৫-১, তাইজুল ১০-০-৫২-৩, মাহমুদউল্লাহ ৪-০-২২-০)
এসি