র্যাগিং এর নামে ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৪ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজ কল্যাণ বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী র্যাগিং নামক মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার ঝাল চত্বর এলাকায় এবং অনুষদ ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার ওই ছাত্রী বিভাগীয় সভাপতি বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই ছাত্রী জানান, আইন ও ভুমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন সাথী, অনন্যা নারগিস, তাজমীন নাহার এবং জান্নত-ই-কাওনাইন মাকনুন ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীকে একই বিভাগের শিক্ষার্থী তুশারের সঙ্গে ঘুরতে দেখে তাদের পথ রোধ করেন। কেন তার সঙ্গে ঘুরছে তা জেরা করতে থাকেন। এসময় তাদের ওপর চড়াও হন এবং অকথ্য ভাষায় চরিত্র তুলে গালি-গালাজ করেন। একইসঙ্গে র্যাগিং নামক মানসিক নির্যাতন চালায়।
এক পর্যায়ে তুশার ওই ভুক্তভোগি ছাত্রীকে নিয়ে অনুষদ ভবনের সামনে আসলে সেখানে তারা আবার আসেন। সেখানেও তাদের পথ রোধ করেন। একই ভাবে র্যাগিং দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে গালি-গালাজ, হুমকি এবং মারধর কারতে উদ্বুদ্ধ হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি।
এসময় অভিযুক্তরা, ‘তুই ক্যামনে ক্যাম্পাসে পড়িস দেখে নিবো। সোস্যাল ওয়েল ফেয়ার বিভাগ আমাদের কিছুই করতে পারবে না।’ বলে হুমকি দেন। এসময় ভুক্তভোগি ছাত্রী অতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বমি করে। পরে তুশার তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাসে করে কুষ্টিয়া শহরে তার মেসে পাঠিয়ে দেন।
এবিষয়ে তুশার বলেন,‘আমার অভিযুক্ত ছাত্রীদের সঙ্গে কোন শত্রুতা নাই। তারা কেন এমন উগ্র আচরণ করেছে আমি জানি না। আমি বাধা দিলেও আমাকে উপেক্ষা করে তারা নির্যাতন চালায়।’ ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারা আমাকে মানসিক নির্যাতন করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’ অভিযুক্ত জান্নত-ই-কাওনাইন মাকনুন বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মিডিয়াকে কিছু বলবো না।’
এঘটনায় মঙ্গলবার ওই ভুক্তভোগি ছাত্রি বিভাগীয় সভাপতির কাছে অভিযোগপত্র দেন। এছাড়াও অভিযুক্ত এই চার ছাত্রীর বিরুদ্ধে তাদের নিজ বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে সহপঠীরা জানিয়েছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উাপচার্য এবং সমাজ কল্যাণ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমি র্যাগিং বিষয়ে একটি আবেদন পেয়েছি এবং প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করেছি। প্রক্টর মহোদয় বিষয়টি দেখছেন। সব কিছু যাচাই-বাছাই করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। আমরা র্যাগিং কোন বরদাশত করবো না, বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং নিষিদ্ধ থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন,‘আমি সোস্যাল ওয়েল ফেয়ার বিভাগের সভাপতির কাছে থেকে অভিযোগ পত্র পেয়েছি। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করবো।’
কেআই/এসি