ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১৭৩

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১০ এএম, ৪ মার্চ ২০২০ বুধবার

করোনা ভাইরাসে নতুন করে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৪ মার্চ) সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৭৩ জনে। এই সংখ্যার মধ্যে চীনেরই রয়েছে ২৯৮১ জন। করোনার ভয়াবহ অবস্থায় চীনের পরেই রয়েছে ইরান। দেশটিতে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এ নিয়ে করোনায় মারা গেলেন ৭৭ জন। 

৭৯টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ হাজার ৫৬০ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায়। এ খবর দিয়েছে চায়না সাউথ মর্নিং পোস্ট।

তবে সুখবর হচ্ছে, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত করোনা থেকে রেহাই পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০,৫৯১ জন মানুষ। যেখানে মঙ্গলবার এই সংখ্যাটি ছিল ৪৮,১০০।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে চীনের পরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৩২৮ জন।  এরপরই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। ৭৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ২,৩৩৬ জন আক্রান্ত করোনায়। 

এদিকে ইরানের মতোই ভয়াবহ করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৩৬ জনে পৌঁছেছে।

জাপানি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই প্রমোদতরীর যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৭০৬ জন। 

প্রমোদতরী ছাড়া জাপানের মূল ভূখণ্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৪।

জাপানের পরেই রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে নতুন করে ২ জন মারা গেছেন করোনায়। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।

প্রথমদিকে না হলেও আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে ট্রাম্পের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৯১ জন। 

এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ায়-১, হংকংয়ে-২,  তাইওয়ানে-১, জার্মানিতে-২ ও ফিলিপাইনে একজন মারা গেছেন।

এদিকে করোনা আতঙ্কে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন ভারতের মানুষ। দেশটির জয়পুরে এক ব্যক্তির দেহে মিলেছে করোনাভাইরাস। এই নিয়ে ভারতে মোট ৬ ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা সন্ধান মিলেনি। তবে সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। 

এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে ‘করোনা ভাইরাসকে‘সর্বোচ্চ ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ঝুঁকি নির্ণয়ে এটি সর্বোচ্চ ধাপ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস এই ঘোষণা দেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এএইচ/