ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শুধু চীনাদেরই স্ক্রিনিং হচ্ছে, খবরটি সঠিক নয়: আইইডিসিআর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ৫ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার

আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা- সংগৃহীত

আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা- সংগৃহীত

চীন থেকে আসা ব্যক্তিদেরই কেবল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে- গণমাধ্যমে আসা এমন খবর সঠিক নয়। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। হয়তো চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে ভুল তথ্য যেতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আইইডিসিআরে নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। 

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘গত ২১ জানুয়ারি থেকে প্রথমে চীন থেকে আসা বিমানগুলোকে স্ক্রিনিং করা হচ্ছিল। যদিও সেখানে কেবল চীনা নাগরিকরাই ছিলেন না। চীন থেকে আসা সবাইকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যখন লোকাল ট্রান্সমিশন পাওয়া গেলো তখন স্থল, সমুদ্র ও বিমান-সব বন্দরসহ সব যানবাহনের যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখের বেশি যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।’

তিনি জানান, মোংলা বন্দরে একটি জাহাজের তিনজন যাত্রীর মধ্যে করোনার লক্ষণ-উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তাদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। তবে জাহাজটি গভীর সমুদ্রে রাখা হয়েছে। পুরো বিষয়টি ইনভেস্টিগেশন করে তথ্য জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি। তবে জাহাজটি করোনামুক্ত বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফকর উদ্দিন। 

চীনা রাষ্ট্রদূতকে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে প্রকৃত তথ্য জানানো হবে বলে জানান ডা. মীরজাদী সেব্রিনা। 

চীনের বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতির দিকে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মীরজাদী বলেন, ‘তবে চীনের বাইরে প্রতিদিন নতুন দেশ ও রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত হটস্পট হিসেবে চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি ও জাপানে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনের বাইরে সর্বোচ্চ রোগী পাওয়া যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে রোগী ছিল ৫ হাজার ৭৬৬ জন।’

অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতারও জন্য কাজ করা হচ্ছে। কেবল দুটি আচরণগত চর্চাতেই একে প্রতিরোধ করতে পারে। সেগুলো হচ্ছে কাশি শিষ্টাচার এবং সাবানপানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া।

উল্লেখ্য, গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে উহানে প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯৫ হাজার ৪৮১ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩ হাজার ৬৮৮ জন। 

শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৩০ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৬৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩৫ জন।

অপরদিকে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। সেখানে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৮৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের।

এমএস/এসি