উদীচী ট্র্যাজেডি দিবস আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ এএম, ৬ মার্চ ২০২০ শুক্রবার
আজ ৬ মার্চ- ‘উদীচী ট্র্যাজেডি দিবস’। ‘যশোর হত্যাকাণ্ড দিবস’ শিরোনামে দিনটি পালন করছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী যশোর জেলা সংসদ।
১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ। যশোর টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে শক্তিশালী এ বোমা হামলা চালানো হয়। বোমার আঘাতে শিল্পীসহ ১০ জন নিহত ও শত শত নিরীহ মানুষ আহত হন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পার হলেও বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি মূল ঘাতকদের।
ওই দিন নিহত ব্যক্তিরা হলেন- নূর ইসলাম, নাজমুল হুদা, সন্ধ্যা রানী ঘোষ, ইলিয়াস মুন্সী, শাহ আলম বাবুল, বাবুল সূত্রধর, শাহ আলম, বুলু, রতন রায় ও রামকৃষ্ণ।
দীর্ঘদিনেও বিচার না হওয়ায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে। আহত হন ২৫০ জনের বেশি। হতাহতের পরিবারে দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে। সেদিনের ওই বোমা হামলায় আহত ও নিহতর পরিবার হামলায় জড়িতদের শনাক্ত এবং বিচার করতে না পারায় হতাশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ’ আর ‘গোজামিলের তদন্তে’র কারণে খালাস দেওয়ার মাধ্যমে আদালত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে বাধ্য হয়। বর্তমান সরকার আমলে নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞের ঘটনার পুনঃতদন্তের কাজ শুর হলেও তা আবারও আবার থমকে গেছে।
উদীচী ট্র্যাজেডিতে দুই পা হারানো শিল্পী হরেন বাউল বলেন, ‘সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দুটি কৃত্রিম পায়ে ভর করে এখনো চলছি। এর মধ্যে দুই ছেলেকে হারিয়েছি। কৃত্রিম পায়ের অবস্থা ভালো না। জোড়াতালি দিয়ে চলতে হচ্ছে। মানবেতর জীবন যাপন করছি। এখন আর কেউ খোঁজ রাখে না। অনেক কষ্টে বেঁচে আছি।’
বোমা হামলায় আহত সাংস্কৃতিককর্মী সুকুমার বলেন, ‘সরকার যদি না চায় তাহলে উদীচী কেন বাংলাদেশে কোনো ঘটনারই বিচার হবে না। সেই জায়গা থেকে ২০ বছর পরও বিচার চাওয়াটাও আমাদের জন্য লজ্জাজনক।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। ২৩ আসামির মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে আর বাকিরা রয়েছেন জামিনে।
এসএ/