লিটনের সেঞ্চুরি, ওপেনিং জুটিতে নয়া রেকর্ড
নাজমুশ শাহাদাৎ
প্রকাশিত : ০৪:৩০ পিএম, ৬ মার্চ ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৩৩ পিএম, ৬ মার্চ ২০২০ শুক্রবার
সেঞ্চুরির পর লিটন দাস
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে লিটন-তামিমের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন দুই ওপেনার। একইসঙ্গে তামিমের সঙ্গে জুটি বেঁধে ২১ বছর আগের রেকর্ড ভেঙ্গে গড়েছেন নতুন ওপেনিং জুটির রেকর্ড। ইতোমধ্যে ১৮২ রান তুলে রানের পাহাড় গড়তে চায় বাংলাদেশ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টিতে খেলা আপাতত বন্ধ। তার আগে ৩৩.২ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৮২ রান। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করা লিটন দাস ১০২ রানে এবং সেঞ্চুরির লক্ষ্যে থাকা তামিম ইকবাল ৭৯ রানে অপরাজিত।
আজ শুক্রবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী জিম্বাবুয়ে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী জিম্বাবুয়ে।
আগের দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি পাওয়া দুই ওপেনারের ব্যাটে চড়ে এদিন নবম ওভারেই দলীয় পঞ্চাশে পৌঁছে দল। আর লিটন ও তামিমের চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ১৮তম ওভারেই দলীয় শতরানে পৌঁছে দল। একইসঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৬তম ম্যাচে এসে চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন দুটি সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন দাস। সাত চারের সাহায্যে ৫৪ বলেই ফিফটি তুলে নেন লিটন।
পরে আরও ৬০ বল খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক হাঁকান লিটন দাস। সবমিলে ১১৬ বল খেলা লিটনের ইনিংসে রয়েছে ১৩টি চারের মার। একইসঙ্গে এদিন সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে এক হাজার রানের ক্লাবে ঢুকে পড়েন এই ওপেনার। মাঠে নামার আগে ৯৭ রান দূরে ছিলেন তিনি।
লিটনের পরই ক্যারিয়ারের ৪৮তম ফিফটি তুলে নেন তামিম ইকবাল। তবে ২০৭তম ম্যাচ খেলতে নামা বাঁহাতি এই ওপেনার খেলেছেন লিটনের থেকেও ছয়টি বল বেশি। ৬০ বলে ফিফটি পাওয়া তামিম এসময়ে হাঁকান তিনটি চারের সঙ্গে দুটি বিশাল ছক্কাও। ১২টি শতক হাঁকানো দেশ সেরা এই ওপেনার গত ম্যাচেই হাঁকিয়েছেন সর্বশেষটি। ক্যারিয়ার সেরা ১৫৮ রান করে আউট হন তিনি।
অন্যদিকে, আজ ওপেনিং জুটিতে এক নয়া রেকর্ড গড়েছেন এই দুই ওপেনার। ১৮২ রানের অনবদ্য জুটি গড়ার পথে ভেঙ্গেছেন ১৯৯৯ সালে মেহরাব হোসাইন অপি ও শাহরিয়ার হোসাইন বিদ্যুতের গড়া ১৭০ রানের জুটিটিও। সেবার এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই দেশের হয়ে রেকর্ড গড়া ওই জুটি গড়েন সাবেক দুই অধিনায়ক। তাও এই মার্চ মাসেই, ২৫ তারিখে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।
এদিকে, প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে এরইমধ্যে সিরিজটি নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। যার ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অনেকটা নিয়মরক্ষার ম্যাচে। তবে জিম্বাবুয়ে চাইবে মান বাঁচাতে হার ঠেকাতে। আর বাংলাদেশ চাইবে স্কোর লাইন ৩-০ করতে।
এই ম্যাচটা শুধু জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার জন্য নয়, দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিদায়ী অর্ঘ্য দেয়ার জন্যও। এই ম্যাচ দিয়েই যে শেষ হচ্ছে টাইগারদের আরেকটা অধ্যায়।
এনএস/