ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ১৯ ১৪৩১

‘পরিবেশ রক্ষায় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ৬ মার্চ ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৩০ পিএম, ৬ মার্চ ২০২০ শুক্রবার

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, প্লাষ্টিকের অতি ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষতি বেড়েছে। পরিবেশ রক্ষায় পাটের তৈরি বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করছে বাংলাদেশ।

‘আমরা ইতোমধ্যে ২৮২ টি বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করছি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,‘আপনারা পাট মেলায় যাবেন এবং পাট সম্পর্কে জানবেন। সেখানে গেলে কোনো না কোনো পণ্য আপনাদের পছন্দ হবেই। এ বিশ্বাস আমাদের আছে।’

গোলাম দস্তগীর বলেন, পাট হারিয়ে গেছে, এ ধারণা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে। সবাই ভেবেছিল পাটের সুদিন শেষ। কিন্তু পাট হারিয়ে যায়নি, আবারও পাটের সুদিন ফিরেছে। চলতি অর্থবছরে পাটখাতে দেশে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনই এর বড় প্রমাণ ।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আজ শুক্রবার রাজধানীর বেইলী রোডস্থ অফিসার্স ক্লাবে পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চকে জাতীয় পাট দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়ায় তাঁকে (শেখ হাসিনা) কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পাট পণ্যের বিস্তার ঘটেছে।

তিনি বলেন,‘অনেকে আগে বলতো পাট মরে গেছে, কিন্তু এখন থেকে মনে করতে হবে পাঠ জেগে উঠেছে। কারণ চলতি অর্থ-বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে আমরা ৬শ’ ১৬ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমান অর্থ আয় করেছি।’ যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি।

অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিমু মন্সী ও বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় আমরা পাট দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতাম। কিন্তু আমরা সে অবস্থান ধরে রাখতে পারিনি। এখন আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমাদের পাটের সোনালী আঁশের স্বপ্ন শুরু হয়েছে। এটি আমরা নিশ্চিত করবো। আর বেশি দিন নেই যেখানে বিশ্ব বাজারে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।’

টিপু মুন্সি বলেন, ‘অনেকের ধারণা ছিল পাট দিয়ে ছালা-বস্তা হয়। কিন্তু ধারণা পাল্টিয়েছে। পাট দিয়ে এখন বিভিন্ন রকমের গিফট আইটেম তৈরি হয়। আমাদের দেশে যখন বিদেশী কোন কুটনীতিক আসে তখন আমরা তাদেরকে পাটের তৈরি বিভিন্ন গিফট আইটেম দিয়ে থাকি। তারা সেগুলো সে দেশে নিয়ে যায় এবং বিশ্বময় এগুলো তুলে ধরেন। এটাও আমাদের একটা অর্জন।’

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ৫ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্যের মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় তিনি মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। এর আগে বস্ত্র ও পাট খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১১ টি ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এসি