বৃষ্টির পর খেলা শুরু, কাটা গেল ১৪ ওভার
নাজমুশ শাহাদাৎ
প্রকাশিত : ০৬:৫১ পিএম, ৬ মার্চ ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৫৭ পিএম, ৬ মার্চ ২০২০ শুক্রবার
তামিম-লিটন
অবশেষে শুরু হলো খেলা। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি আবারও মাঠে গড়াচ্ছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ফের শুরু হয় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায়। তবে এরইমধ্যে ম্যাচের নির্ধারিত ওভার থেকে কাটা পড়েছে ১৪ (৭+৭) ওভার।
বৃষ্টিতে প্রায় দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকায় কমিয়ে দেয়া হয়েছে ম্যাচের ওভার সংখ্যা। প্রতি ইনিংসে ৭ ওভার করে কেটে নেয়ায় এখন ম্যাচটি হবে ৪৩ ওভারের। এর আগেই অবশ্য বাংলাদেশ ৩৩.২ ওভার ব্যাটিং করেছে, অর্থাৎ আর মাত্র ৯ ওভার চার বল ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবে টাইগাররা।
এর আগে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছিল টাইগাররা, এমন সময়ে বৃষ্টির হানা। হঠাৎ বন্ধ ম্যাচ। বৃষ্টি শুরুতে ঝিরঝিরে থাকলেও পরে তার তীব্রতা বেড়ে যায়। তাই ম্যাচ নিয়েই তৈরি হয় শঙ্কা।
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বৃষ্টি থেমেছে সিলেটে। সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে কভার সরিয়ে ফেলা হয়। স্টেডিয়ামের দুই দিকে সুপার সপার আর অন্তত ২৫ গজ লম্বা দুটি চট দিয়ে মাঠ শুকানোর চেষ্টা চলে।
৬টা ১৫ মিনিটে মাঠ পরিদর্শন করেন আম্পায়াররা। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেন, ম্যাচ আবারও মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়। কমিয়ে ফেলা হবে ৭ ওভার করে।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অধিনায়ক হিসেবে নিজের বিদায়ী ম্যাচটি খেলতে নেমে টস হেরেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। জিম্বাবুয়ে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। দু’জনই আগের দুই ম্যাচে হাঁকিয়েছেন দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরি। প্রথম ম্যাচে লিটন অপরাজিত ১২৬ রান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম খেলেন ১৫৮ রানের ইনিংস।
এমন দুই ব্যাটসম্যান যদি একইসঙ্গে জ্বলে ওঠেন! প্রতিপক্ষের যে বারটা বাজারই কথা, সেটা আজ হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দুই ওপেনারই আজ (শুক্রবার) একসঙ্গে জ্বলে ওঠেন।
দেখেশুনে শুরু করার পর মাত্র ৫২ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন তামিম-লিটন। এরপর ১১০ বলে ছুঁয়ে ফেলেন ১০০ রানের জুটি। পরের ৫০ পার করতে একটু সময় নিয়েছেন তারা। ১৭৮ বলে দেড়শ ছোঁয়া হয় এই জুটির। অবিচ্ছিন্ন থাকেন ১৮২ রানে।
আগের দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি পাওয়া দুই ওপেনারের ব্যাটে চড়ে এদিন নবম ওভারেই দলীয় পঞ্চাশে পৌঁছে দল। আর লিটন ও তামিমের চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ১৮তম ওভারেই দলীয় শতরানে পৌঁছে দল। একইসঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৬তম ম্যাচে এসে চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন দুটি সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন দাস। সাত চারের সাহায্যে ৫৪ বলেই ফিফটি তুলে নেন লিটন।
পরে আরও ৬০ বল খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক হাঁকান লিটন দাস। সবমিলে ১১৬ বল খেলা লিটনের ইনিংসে রয়েছে ১৩টি চারের মার। একইসঙ্গে এদিন সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে এক হাজার রানের ক্লাবে ঢুকে পড়েন এই ওপেনার। মাঠে নামার আগে ৯৭ রান দূরে ছিলেন তিনি।
লিটনের পরই ক্যারিয়ারের ৪৮তম ফিফটি তুলে নেন তামিম ইকবাল। তবে ২০৭তম ম্যাচ খেলতে নামা বাঁহাতি এই ওপেনার খেলেছেন লিটনের থেকেও ছয়টি বল বেশি। ৬০ বলে ফিফটি পাওয়া তামিম এসময়ে হাঁকান তিনটি চারের সঙ্গে দুটি বিশাল ছক্কাও। ১২টি শতক হাঁকানো দেশ সেরা এই ওপেনার গত ম্যাচেই হাঁকিয়েছেন সর্বশেষটি। ক্যারিয়ার সেরা ১৫৮ রান করে আউট হন তিনি।
অন্যদিকে, আজ ওপেনিং জুটিতে এক নয়া রেকর্ড গড়েছেন এই দুই ওপেনার। ১৮২ রানের অনবদ্য জুটি গড়ার পথে ভেঙ্গেছেন ১৯৯৯ সালে মেহরাব হোসাইন অপি ও শাহরিয়ার হোসাইন বিদ্যুতের গড়া ১৭০ রানের জুটিটিও। সেবার এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই দেশের হয়ে রেকর্ড গড়া ওই জুটি গড়েন সাবেক দুই অধিনায়ক। তাও এই মার্চ মাসেই, ২৫ তারিখে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।
এনএস/