‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’:বঙ্গবন্ধুর জীবনকাব্যভাষ্য
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৪ পিএম, ৬ মার্চ ২০২০ শুক্রবার
পৃথিবীখ্যাত বহু রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক অসামান্য অনেক গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং সে সব গ্রন্থ একদিকে যেমন কালোত্তীর্ণ মর্যাদা লাভ করেছে, তেমনি তাবৎ পৃথিবীর মানুষের চিন্তা চেতনা ও আদর্শের জন্য নক্ষত্র আলোরূপ পেয়েছে। নিজের দেশ তো বটেই গোটা পৃথিবীতেই তা সমাদৃত হয়েছে। বিশ্বকাঁপানো এসব রাজনীতিক ও শাসক নিজস্ব চিন্তা আদর্শ ও দর্শন প্রচারের জন্য লেখনিকেই মূল অস্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
বিশ্বখ্যাত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার A Long Walk to Freedom the Autobiography, ভারতের প্রবাদপুরুষ ও ‘অহিংস’বাদ নেতা মহাত্মা গান্ধী’র The Story of My Experiments with trouth. জার্মানের শাসক ও নিষ্ঠুরতার প্রতীক অ্যাডলফ হিটলারের Mein Kampf, সোভিয়েত রাশিয়ার মহান নেতা ভ্লাদিমির লেনিনের ‘রাশিয়ার পুঁজিবাজারের বিকাশ’, ‘প্রলেতারিয় বিপ্লব ও দলদ্রোহী কাউৎস্কি’, ইতালির শাসক নিকোলোর The Prince, আমেরিকার বিখ্যাত অভিনেতা ও প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান-এর Where’s the rest of me, Speaking my Mind.
আব্রাহাম লিঙ্কনের গেটিসবার্গের ভাষণ, ফিদেল কাস্ত্রোর মাই লাইফ, জোসেফ স্ট্যালিনের Marxism and the National question, History of the communist party of the Soviet Union, Dialectical and Historical Materialism; ভারতের স্বাধীনতার মহানায়ক সুভাসচন্দ্র বসুর তরুণের স্বপ্ন,The Indian Struggle, An Indian Pilgram, মাও ৎসে-তুং এর on Guerrilla, On Contradication, On Practice, জওহরলাল নেহেরুর মামণিকে বাবা, পৃথিবীর ইতিহাস,The Discovery of India, Autobiography, ভারতের রাষ্ট্রপতি ও বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম আজাদ এর উইংস অব ফায়ার, ভারতের বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি পুরোদস্তর লেখক। তাঁর Thoughts and Reflection, বিল ক্লিন্টনের My Life, Between Hope and History,ভারতের বিখ্যাত তাত্তি¡ক নেতা মানবেন্দ্রনাথ রায় (এম এন রায়) এর Radical Humanist, Historical Role of Islam, আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার Change We can Believe in, Dreams From My Father এরকম আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের লাল সূর্যের পতাকা বিশ্বমঞ্চে উড়িয়ে বিশ্বকাঁপানো নেতাতে পরিণত হন। তাঁর রচিত গ্রন্থও ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং দেশে-বিদেশে বহুল প্রশংসিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যেভাবে কারাগারে নির্যাতন নিপীড়নের ভেতর বই লিখেছেন, বিশ্ব ইতিহাসে এরকম দৃষ্টান্ত খুব বেশি পাওয়া যাবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেকে পুরোপুরিভাবে দেশের জন্য নিবেদন করেছিলেন। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত, মানুষের মুক্তির সংগ্রামে বজ্রকণ্ঠ, অবর্ণনীয় নিপীড়ন নির্যাতন, নিয়মিত কারাভোগ এসব তার জীবনের সাথে অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তানী শাসন-শোষন, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ বাঙালির বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অপরিহার্য নেতা হয়ে হয়ে ওঠেন। মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনে মহানায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। রক্ত কান্না লাশ সম্ভ্রমের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনেন এদেশের বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। পৃথিবীতে বহু বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা ছিলেনÑ এখনো আছেন, কিন্তু ক’জন নেতা একটি দেশের জন্ম দিতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্ব ইতিহাসে বিরল এক নেতা যিনি মাত্র ন’মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানে তিনি অদ্বিতীয়।
তাঁর জীবন ছিল এদেশের ঝড়-ঝঞ্ঝাটের মতো। কারাগারে বসে প্রতিবন্ধকতারভেতর লিখেছেন ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র মতো অসামান্য এক গ্রন্থ। এ গ্রন্থে তাঁর জীবন, সত্যভাষণ ও রাজনীতির দৃঢ়তা-দূরদর্শিতা-সবকিছুর মূলেই উঠে এসেছে বাংলার মানুষের প্রতি ভালোবাসা-বাংলার মানুষের মুক্তির কথা।
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনে ছিলেন আলোকবর্তিকা। বঙ্গবন্ধু নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন দেশের জন্য- দেশের মানুষের জন্য। আর বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা নিজেকে উৎসর্গ করে রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্য। শেখ মুজিবের ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে-ওঠার পেছনে রয়েছে বঙ্গমাতার অসামান্য অবদান। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ লেখার ক্ষেত্রেও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি কারাগারে খাতা পৌছে দিয়ে তাঁকে লিখতে অনুপ্রাণিত করতেন। তাঁর প্রেরণাতেই তিনি লিখেছেন।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে বঙ্গবন্ধুর বংশপরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাÐ, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা, যিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন। তিনি যে চীন, ভারত ও পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণে গিয়েছিলেন, সেসব বর্ণনা বইটিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে। এই বইটি এতোই নির্মোহ ও নিরপেক্ষ যে, এই বইটির কোন একটি বিষয় তাঁর রাজনৈতিক-আদর্শ বিরোধীরাও দ্বিমত পোষন বা সমালোচনা বা কোনো অভিযোগ-অনুযোগ দাঁড় করাতে পারেননি। ফলে মানুষ হিসেবে তিনি যেমন মহান ছিলেন, লেখক সত্ত¡াতেও ছিলেন সত্যিকারের সত্যসাধক।
বঙ্গবন্ধু প্রায় একেবারে শুরুতেই বংশ পরিচয় দিয়েছেন। টুঙ্গিপড়ায় শেখ বংশের গোড়াপত্তন, তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা, বসতবাড়ির ঘরবাড়ির বর্ণনা এসব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। মোগল আমলে তৈরি দালান বাড়ি যে শেখ বংশের সুদিনের পরিচয় বহন করে, আবার সময়ের সাথে সেই সুদিন হারিয়ে সেই দালানগুলি শ্রী হারিয়েছে, এক ভাঙা দালানে সর্পকুল বসত করেÑকী অসাধারণ সাবলীলভাবে বলেছেন তা ভাবলে অবাক হতে হয়। আদি পুরুষের পরিচিতি, তাদেও অর্থনৈতিক অবস্থা ও দেশপ্রেম উপস্থাপন করেছেন গ্রন্থে।
বঙ্গবন্ধু স্কুল জীবনে ভালো ফুটবল খেলতেন। দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তাঁর দলের সাথে তাঁর পিতার দলের যখন খেলা হতো এলাকার লোকজন তখন এটা বেশ উপভোগ করতেন। বঙ্গবন্ধু নিজের দলকে শক্তিশালী করার জন্য মহকুমা পর্যায়ে যে সব ছাত্র ভালো খেলতো, তাদের নিজের স্কুলে এনে ভর্তি করিয়ে বিনা বেতনে পড়ার ব্যবস্থা করে দিতেন। এতে তাঁর দল খুবই শক্তিশালী হতো। বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের যে কী পরিমাণ সম্মান করতেন, তা বর্ণনাতীত। ছাত্র হিসেবেও তিনি মেধাবী ও মনোযোগী ছিলেন।
কাজী নজরুল ইসলামকে তিনি গভীরভাবে সম্মান করতেন। ১৯৪১ সালের ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের কনফারেন্সে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আমান্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে সঙ্গে হুমায়ুন কবির ও ইব্রাহিম খাঁ ছিলেন। ছাত্রদের মধ্যে দুটো দল হয়ে যাওয়ার কারণে সভা করা সম্ভব হয় নি । হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কাজী নজরুল ইসলামের কণ্ঠে গান শোনেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে এনে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। ধানমন্ডিতে তাঁকে বাড়ি দেন। তাঁর খাওয়া-চিকিৎসাসহ সব ধরণের সুবিধা প্রদান করেন। নজরুলকে যে তিনি কতোটা গভীরভাবে ভালোবাসতেন, এ থেকেই তা অনুধাবনযোগ্য।
শেখ মুজিব ছাত্র রাজনীতিতে অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই এ জনপ্রিয়তা তিনি অর্জন করেছিলেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি এতো জনপ্রিয় ছিলেন যে, তাঁর মনোনীত প্রার্থীর কাছে অফিসিয়াল ছাত্রলীগের প্রার্থীও পরাজিত হতো। এর পর তাঁর মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে কেউ নির্বাচন করতো না। এ প্রসঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের বক্তব্য- ‘আমি ছাত্রনেতাদের নিয়ে আলোচনা করে যাদের ঠিক করে দিতাম নমিনেশন দাখিল করত, আর কেউ করত না। কারণ জানত, আমার মতের বিরুদ্ধে কারও জিতবার সম্ভাবনা ছিল না।’
বাংলাদেশের বাইরে প্রথম তিনি দিল্লিতে যান। দিল্লি কনফারেন্স উদ্দেশ্যে। সেই আবেগ কৌত’হল ও অসুস্থতার কথা বলেছেন। ইতিহাস পড়ে জানা বন্ধুদের কাছ থেকে শোনা সবকিছু বাস্তবে মিলিয়ে দেখার কৌত’হল তাঁর মধ্যে যে আনন্দঢেউ হয়ে উঠেছিল, তা তিনি সাবলীলভাবে অকপটে বলেছেন। কী সরলভাবে বলেছেন বাবার কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা, বোনের কাছ থকে টাকা নেয়ার কথা, এমনকি স্ত্রী রেণুর কাছ থেকেও টাকা নেয়ার কথা। আত্মজীবনী লেখার সময় কতো বড় বড় লেখক, নিজেকে লুকিয়ে রাখেন সত্যপ্রকাশ থেকে। অথচ বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল এক ব্যক্তিত্ব কোন লুকোছাপা না করে কতো অনায়াসে এক টিকিটে তিনজনের ট্রেনে যাত্রার কথা বলতে পারেন। এখানেই তাঁর মহত্ত¡, এখানেই তিনি সত্যসাধক।
ব্রিটিশদের তোষামোদি করে এদেশের একশ্রেণির মানুষ নেতা হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত স্বার্থ ও প্রমোশনের জন্য ইংরেজকে খুশি করায় ব্যস্ত থাকতেন। স্বাধীনতার জন্য যে সমস্ত কর্মীরা সংগ্রাম করেছে, তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার করেছে, নিপীড়ন করেছে, যাতে ইংরেজরা খুশি হয়। এসব ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে তুলে ধরে দেশের প্রকৃত ছবিটা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন।
বাংলা ভাষা আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল সূতিকাগার। এই আন্দোলনের ভেতরেই স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল মন্ত্র নিহিত ছিল। ভাষা আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য তিনি বিভিন্ন জেলায় গিয়েছেন,বক্তৃতা করেছেন, জনমত তৈরি করেছেন। কারাগারে বন্দি হয়েছেন। নির্যাতিত হয়েছেন। মিথ্যা দোষারোপের শিকার হয়েছেন। কিন্তু ন্যায্য দাবি থেকে এক চুলও সরে দাঁড়ান নি। ন্যায্য অধিকার আদায়ই ছিল তাঁর কাছে মূল।
বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কারণে পরিবার থেকে এতোটাই বিচ্ছিন্ন থাকতেন, নিজের সন্তানের কাছেও অচেনা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শেখ কামালের সেই মর্মস্পর্শী বাণী, ‘হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।’ একজন পিতার জন্য এর চেয়ে বেদনার আর কী হতে পারে! সেই বেদনায় তিনি বলেছেন, ‘নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।’ পিতার অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে বাড়ি যাবার পথে নিজের সঙ্গে নিজের আত্মদংশনে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন তিনি, পরিবারে কোন দায়িত্ব পালন করতে না পারার জন্য।
দেশের জন্য-দেশের মানুষের জন্য- একটি স্বাধীন দেশের জন্য তিনি নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। নিজের জীবনের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি, আপনজনদের কথা ভাবেননি। তিনি ভেবেছিলেন এই দেশটিকে-ভেবেছিলেন এই দেশের মাটি ও মানুষকে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পরতে পরতে সে কথাই ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের রাজনীতি ও সাহিত্যে এ বই চিরকালীনÑকালোত্তীর্ণ। আর তার ভেতর জেগে আছে সাধারণের ভেতর অসাধারণ অসামান্য এক মুজিব- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
(ড. রকিবুল হাসান। কবি-কথাসাহিত্যিক-গবেষক। বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।)
আরকে//