ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মুজিববর্ষে মাধ্যমিক স্কুলে প্রজেক্ট ভিত্তিক শিখন কার্যক্রমের উদ্যোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২৪ পিএম, ৭ মার্চ ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৪:৩১ পিএম, ৭ মার্চ ২০২০ শনিবার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ মুজিববর্ষ উপলক্ষে চারটি প্রজেক্টভিত্তিক শিখন কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুলে যা ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে নির্দেশে দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।

কার্যক্রমগুলো হলো:
ক) ‘আইসিটি’র ঠিক ব্যবহার- মুজিববর্ষের অঙ্গীকার’
খ) ‘সুস্থতা ও সুষম খাদ্য- মুজিবর্ষের প্রতিপাদ্য’
গ) ‘মুজিববর্ষে অনঢ় পণ- পরিবেশের সংরক্ষণ’
ঘ) ‘সকল কাজকে সম্মান দেই- মুজিবর্ষে শপথ নেই’

আইসিটি’র ঠিক ব্যবহার- মুজিববর্ষের অঙ্গীকার : এ কর্মসূচিতে মাধ্যমিক স্তরের সব স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। আইসিটি বিষয়ক শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে কয়েকটি দল থাকবে। প্রত্যেক দলে ১০ জন শিক্ষার্থী থাকবে। এরা নিজ শ্রেণির শিক্ষার্থী, অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। তথ্যের মধ্যে থাকবে- তারা কী ধরনের আইসিটি ডিভাইস ব্যবহার করে, কখন ব্যবহার করে, কতক্ষণ ব্যবহার করে, কোন কাজে ব্যবহার করে এবং কী কী ধরনের হয়রানির শিকার হয় ইত্যাদি। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে সামগ্রিকভাবে আইসিটি ব্যবহারের ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করা হবে। এরপর এসব ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনার উপায় নিরূপণ হবে। এর ফলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নিজ সম্প্রদায়ের লোকরা আইসিটির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।

সুস্থতা ও সুষম খাদ্য- মুজিবর্ষের প্রতিপাদ্য : এই কর্মসূচিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। বিজ্ঞান বিষয়ক
শিক্ষকের তত্ত্বাবধায়নে কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে প্রথম ধাপে খাদ্যাভাস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এর ফলাফল
নিজ শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে।  দ্বিতীয় ধাপে সুষম খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টিমান ও খাদ্য গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে জানবে এবং স্কুলে একটি খাদ্য জরিপ করবে এরা। জরিপে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি পোস্টার তৈরি করে স্কুলে প্রচার করবে। এই প্রজেক্ট ভিত্তিক শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুষম খাদ্যাভাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হবে ও মিডডে মিলের খাদ্যাভাসের সঙ্গে সমন্বয় করতে শিখবে।

মুজিববর্ষে অনঢ় পণ- পরিবেশের সংরক্ষণ : এই প্রজেক্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকৃতি ও নিসর্গের প্রতি সংবেদনশীলতা ও ভালোবাসা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা শিক্ষক তার ক্লাসে পরিবেশ ও নিসর্গ সম্পর্কে ধারণা দিবেন। এরপর পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষার্থীরা।

সকল কাজকে সম্মান দেই- মুজিবর্ষে শপথ নেই : এই কর্মসূচিতে প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ৭ম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। কর্ম ও জীবনমুখী বিষয়ক শিক্ষকের অধীনে শিক্ষার্থীরা মাইন্ড ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে কী কী কাজ করতে হবে তার পরিকল্পনা তৈরি করবে। শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও বিদ্যালয় পর্যায়ে কায়িক শ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলবে, সমাজের বিভিন্ন ধরনের পেশা সম্পর্কে জানবে, সব ধরনের পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে এবং নিজেরাও কোন একটি নির্দিষ্ট পেশার দক্ষতা আয়ত্ত করবে এবং নিজের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য পেশা বাছাই ও তার জন্য যথাযথ শিক্ষা পরিকল্পনা করতে শিখবে।

উপরোক্ত বিষয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিতকরণ ও বাস্তবায়নের জন্য গত ৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দেশের সকল শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এএইচ/