বশেমুরবিপ্রবিতে অনশনে অসুস্থ ৩ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ৭ মার্চ ২০২০ শনিবার
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থী লিজান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। অনশনে অসুস্থ হয়ে ইন্দ্রানি, নাঈমা, লিজান নামের ইতিহাস বিভাগের ৩ শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩১তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি এবং দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালনকালে অসুস্থ হন ওই তিন শিক্ষার্থী।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয়ের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন ৫০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল। আগামীকাল (৮ মার্চ) এ কর্মসূচি পালন করবে বলে নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কারিমুল হক।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিল, ৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন দেয়া না হলে ইউজিসির কার্যালয় ঘেরাও করবেন তারা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ইউজিসি কর্তৃক গঠিত কমিটির ওপর আস্থা রেখে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা এবং ৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় ইউজিসিকে। কিন্তু ১৭ দিন পার হয়ে গেলেও ইউজিসির কর্তৃক গঠিত কমিটি কোনও কার্যক্রম শুরু না করায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইউজিসির কার্যালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে একটি দল ঢাকায় অবস্থান করছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ক্রমাগত আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১টায় ইতিহাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইদ্রাণী এবং আজ (৭ মার্চ) ১১টায় দ্বিতীয় বর্ষের লিজান ও বেলা ৩টায় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাইমা অসুস্থ হয়ে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী বিভাগটিতে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে ওইদিন রাত থেকেই প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিভাগটির প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী।
কেআই/এনএস