ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ১৯ ১৪৩১

দু`পক্ষের সংঘর্ষে দোকানপাঠে ব্যাপক ভাংচুর, আহত ১

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৭ পিএম, ৭ মার্চ ২০২০ শনিবার

সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে পরিবহণ শ্রমিকদের মারামারিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে তাতে ব্যবসায়ীদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবু (৩৫) নামের ১ পরিবহণ শ্রমিক। তাকে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক দুই লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। শনিবার দুপুরে উপজেলার পাগলা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের মঈনুল ইসলাম ওরফে ময়না মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক সাইফ মিয়া (১৬) ও অপর সিএনজি চালক হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু মিয়া (৩৫)'র মাঝে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ দু'জনের কথাকাটি মারামারিতে রূপ নিলে গুরুতর আহত হন চালক হাবু মিয়া। হাবু মিয়ার চালিত সিএনজি (সুনামগঞ্জ থ ১১-০৪৪২) সাইফ কর্তৃক আটকে রাখার খবর প্রচার হলে সিএনজির মালিক একই ইউনিয়নের চন্দপুর (কোনারবাড়ি) গ্রামের রুহুল মিয়া  এঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। 

এ সময় রুহুল মিয়া তার দলবল নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পাগলা বাজারের বাসস্ট্যান্ড-এলাকার বেশকয়েকটি দোকানে হামলা ও  ভাংচুর চালান। এতে ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ লুটপাটের ঘটনা ও মালামালের  ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন সাজিদ মিয়া, জোবায়ের আহমদ, শানুর আলী, জগলু মিয়া, নোয়াব আলী, ইউনুছ আলী, মকদ্দুস আলী, মিজানুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, নূর মিয়া, জয়নুল মিয়া, জলাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান মিজান। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ ব্যপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন বলেন,আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো দেখেছি। উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি। এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে।'

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার এস আই আলা উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'ঘটনার খবর পেয়ে আমরা এসেছি। সিএনজি চালকদের মাঝে এই ঘটনা ঘটেছে। পরে আমরা অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো দেখেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেআই/আরকে