এবার নিউইয়র্কেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ৮ মার্চ ২০২০ রবিবার
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও ফ্লোরিডার পর এবার জরুরি অবস্থা জারি করেছে নিউইয়র্ক সরকার।
স্থানীয় সময় শনিবার (৭ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাল দিতেই নিউইয়র্কজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এসময় তিনি দেশটিতে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
অ্যান্ড্রু কুমো জানান, ‘করোনা ইস্যুতে পরিস্থিতির অবনতি হলে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগগুলোকে সহযোগিতা করতে আরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগে কাজ করা হচ্ছে। সেবাদানকারী কর্মীদের জন্য ৩০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে।’
নিউইয়র্কের গভর্নর জানান, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ থেকে বেড়ে ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনই নিউইয়র্ক শহরের বাসিন্দা। এছাড়াও সব মিলিয়ে ওয়েস্টার্ন কাউন্টিতে ৫৭ জন, নাসাউ কাউন্টিতে ৪ জন, রকল্যান্ড কাউন্টিতে ২ জন ও সারাতোগা কাউন্টিতে ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী আছেন।’
করোনাভাইরাস নিয়ে বেশি আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের কোথাও যেন বড় জমায়েত না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
কুমো জানান, ‘করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ৪৩৭ জন ও মৃত্যুর সংখ্যা ১৯। এ ছাড়া ফ্লোরিডায় দুজনের মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে বাইরে থেকে আগত অতিথিদের প্রবেশাধিকারেও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’
করোনার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ফার্মেসি ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যেন অবৈধ মেডিকেল উপকরণ বিক্রি করা না হয় এবং বৈধ পণগুলোর দাম যেন বেশি রাখা না হয়, সে বিষয়েও হুঁশিয়ারি দেন নিউইয়র্কের গভর্নর।
এদিকে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৭০ জন। শুধু চীনেই মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০ জন। উৎপত্তিস্থল চীনের বাইরে ৫০৩ জন।
চীনের বাহিরে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। ইউরোপের দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজারের বেশি।
আর ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দেশ ইরানে এখন পর্যন্ত দুই সংসদ সদস্য ও এক রাষ্ট্রদূতসহ ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজারের কাছাকাছি।
পিছিয়ে নেই দক্ষিণ কোরিয়াও। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৫০ জন মারা গেছেন। আক্রান্তের দিক থেকে চীনের বাহিরে সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় হাজারের বেশি নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে ৭ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে ভুগছেন।
এআই/