ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

ইতালিতে কোয়ারেন্টাইনে দেড় কোটি মানুষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ৮ মার্চ ২০২০ রবিবার

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে চীনের বাহিরে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশ ইতালি। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। 

পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উত্তরাঞ্চলীয় লোম্বার্ডি এবং আরও ১১টি প্রদেশ অবরুদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এতে করে আগের ৫০ হাজারসহ দেড় কোটি মানুষকে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হচ্ছে। 

একইসঙ্গে, এসব অঞ্চলের সব জিম, সুইমিং পুল, যাদুঘর, স্কি রিসোর্টসহ কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলো আগামী এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সাড়ে ১২শ নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৩ জনে পৌঁছেছে। আর করোনার ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৩ জন। 

বিবিসি জানিয়েছে, ‘ইউরোপের এই দেশটির লোম্বার্ডি অঞ্চলে অন্তত এক কোটি মানুষের বসবাস। এছাড়া অবরুদ্ধ ঘোষিত ১১টি প্রদেশে বাস করে আরও ছয় কোটি মানুষ। ইতিমধ্যেই উত্তরাঞ্চলের ৫০ হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  ফলে নতুন নিষেধাজ্ঞায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষ কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আসছেন।’ 

দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ইতালির অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র নামে পরিচিত মিলান, পর্যটনকেন্দ্র ভেনিসসহ বেশ কয়েকটি শহরে জনসমাগম ও চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। যা আজ রোববার থেকে আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। প্রয়োজনে সময় আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।’

এসব বিধি নিষেধ কেউ অমান্য করলে তাকে আর্থিক ও শারীরিক শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়াও, দেশটিতে ফুটবলসহ সবধরণের খেলা বাতিল করা হয়েছে। 

এদিকে করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৭০ জন। এরমধ্যে শুধু চীনেই মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০ জন। 

চীনের বাহিরে ইতালির পরে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দেশ ইরানে। এখন পর্যন্ত দুই সংসদ সদস্য ও এক রাষ্ট্রদূতসহ ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজারের কাছাকাছি। 

পিছিয়ে নেই দক্ষিণ কোরিয়াও। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৫০ জন মারা গেছেন। আক্রান্তের দিক থেকে চীনের বাহিরে সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় হাজারের বেশি নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে ৭ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে ভুগছেন। 

এআই/