ভেসে উঠল আরও পাঁচ লাশ, কনেসহ নিখোঁজ ৩
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ৮ মার্চ ২০২০ রবিবার
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বৌভাতের অনুষ্ঠানের দুই নৌকা ডুবির ঘটনায় এখনও সন্ধান মেলেনি নববধূসহ তিন নারীর। তবে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমার চাচা শামীম (৪০) ও তার মেয়ে রশ্মি খাতুনের (১০) মরদেহ একসঙ্গে ভেসে ওঠে।
আজ রোববার সকালে তৃতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান শুরু করে ডুবুরি দল। নিখোঁজদের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ।
রোববার দুপুর পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি কনে সুইটি খাতুন পুর্ণি, তার ফুপাতো বোন রুবাইয়া খাতুন (১২) ও খালা আঁখি খাতুনকে (২৫)
আব্দুর রউফ জানান, ‘সকাল ১০টার দিকে অভিযান শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে তারা দ্বিতীয় নৌকার সন্ধ্যান পায়। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া নৌকায় কোন লাশ পাওয়া যায়নি। অপর নৌকাটি শনিবার বিকেলে উদ্ধার করা হয়েছে।’
নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, ‘শনিবার ছয়জনের লাশ পরিবারের কাছে হ্স্তান্তর করা হয়। রাতে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।’
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে রাজশাহী শহরের শ্রীরামপুরের বিপরীতে চরখিদিরপুর মধ্য পদ্মায় ৩৬ যাত্রী নিয়ে দুই নৌকা ডুবে যায়। পরে দমকল বাহিনী, বিজিবি, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন, কনের বড় বোন শাহীনুর বেগমের স্বামী রতন আলী (৩০), তাদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৫), চাচা শামীম হোসেন (৩৫), চাচি মিনা খাতুন (৩০), চাচাতো বোন রশ্মি (৭) ও খালাতো ভাই এখলাস আলী (২২)।
এআই/