ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পুলিশে প্রশংসিত হচ্ছেন নারীরা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:২৪ পিএম, ৮ মার্চ ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৩:১৩ পিএম, ৮ মার্চ ২০২০ রবিবার

অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় পুলিশ বাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আভিযানিক ও তদন্তভিত্তিক কাজে তাদের অংশগ্রহণ। যদিও ভয়ংকর অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয় নারী পুলিশ সদস্যদের, তবুও এগিয়ে চলছেন তারা। নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে প্রশংসিতও হচ্ছেন নারী পুলিশ।

বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর মোট সদস্য রয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে কর্মরত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫২ জন। বাকি ৯ হাজার ৪৭৪ জন প্রশিক্ষণে আছেন। আর পুলিশে বর্তমানে নারী সদস্য রয়েছেন ১৫ হাজার ২৮০ জন, যা মোট পুলিশ সদস্যের ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ।

পুলিশ সদর দপ্তরের চলতি বছরের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী, নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য মঞ্জুরীকৃত পদ রয়েছে ২ হাজার ৮৮৬টি। তবে এর বিপরীতে কাজ করছেন ১৫ হাজার ২৮০ জন (প্রশিক্ষণরতসহ) নারী পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে কনস্টেবল পদে ১ হাজার ৭৯৭টির বিপরীতে কাজ করছেন ১২ হাজার ৭৮৩ জন নারী পুলিশ সদস্য। ২৫টি মঞ্জুরীকৃত নায়েক পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১৬২ জন। এএসআই পদে ৫৫০টির বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১ হাজার ৬৪ জন। ৪৩৩টি এসআই পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৮০৮ জন এবং পুলিশ পরিদর্শকের ৪৪টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১২২ জন নারী পুলিশ সদস্য।

পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবমতে, বর্তমানে বাহিনীতে ২৪টি সহকারী পুলিশ সুপার পদের বিপরীতে কাজ করছেন ১০১ জন নারী পুলিশ। ১১টি অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপারের পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১১০ জন। পুলিশে সুপারের দুটি মঞ্জুরীকৃত পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৭০ জন। আর অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে মঞ্জুরীকৃত কোনো পদ না থাকলেও পাঁচজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন।

পুলিশ বাহিনীতে অংশগ্রহণ শুরুর প্রায় ১০ বছর পর ১৯৮৪ সাল থেকে বিসিএস ক্যাডার পদে নারী পুলিশ নিয়োগ শুরু হয়। 

স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে পুলিশ বাহিনীতে সর্বপ্রথম আটজন নারী কনস্টেবল নিয়োগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারা কাজ করতেন সাদা পোশাকে। এরপর পুলিশি পোশাকে নারী সদস্যদের নিয়োগ শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। সে সময় মাত্র ১১ জন নারী সদস্য নিয়োগের মাধ্যমে যে পথচলা শুরু, সে সংখ্যাটা আজ ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

পুলিশে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মো. সোহেল রানা বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে নারীর তাৎপর্যপূর্ণ অংশগ্রহণ ও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত নারীর অংশগ্রহণ শুধু দেশেই নয়, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমেও বেড়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ, যেটি প্রথম নারী পুলিশের সম্পূর্ণ কন্টিনজেন্ট প্রেরণ করেছে। বাংলাদেশ পুলিশে নারীরা শুধু অপারেশনাল কাজেই নয়, পলিসি লেভেলেও কাজ করছেন।’
এসএ/