ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: সাংবাদিকসহ আহত ৩০

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ৮ মার্চ ২০২০ রবিবার

বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ে (বশেমুরবিপ্রবি) এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

রবিবার বেলা ১২টার দিকে ক্লাস রুম এবং অফিস রুমের মধ্যকার জায়গার অসমবন্টণ নিয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

এতে সাংবাদিকসহ উভয় বিভাগের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।এসময় সংবাদ সংগ্রহকালে এসিসিই বিভাগের হামলায় দৈনিক আমার সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সহসভাপতি সুকান্ত সরকার আহত হয়েছেন।

এছাড়াও এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দুইজন শিক্ষক লাঞ্চিত ও আহত হয়েছেন। 

এবিষয়ে সংঘর্ষে আহত হওয়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষিকা মাহাবুবা উদ্দীন বলেন, “আমি অফিসে কাজ করছিলাম এমন সময় কিছু শিক্ষার্থী এসে অফিস রুমে হামলা চালায় ৷ এসময় তারা জানালার কাঁচ ভাঙ্গে তাতে আমি গুরুতর আহত হই ৷”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার সত্যিই দুঃখজনক ৷”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের  শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি রুমে আইআর বিভাগের অফিস ও এসিসিই বিভাগের ক্লাস রুম। প্রথম দিকে রুম বিভাজনে কাঠের পার্টিশন দেওয়া ছিল। কিন্তু ক্লাস রুমে শব্দ আসার কারণে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ পার্টিশন হিসেবে থাই গ্লাস ব্যবহার করে। এতে অসতর্কতার ফলে এসিসিই ক্লাস রুমের দিকে হাল্কা সরে যায়।  এ নিয়ে এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকবার শিক্ষকদের সাথে বাজে ব্যবহার করেন। সর্বশেষ তারা আমাদের তালাবদ্ধ অফিসকক্ষের সামনে বেঞ্চ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আমাদের অফিস সহকারী কক্ষ খুলতে গেলে তারা বাধা প্রদান করে। পরবর্তীতে মাহবুবা ম্যাম তালা খুলে রুমে প্রবেশ করেন। এতে এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা কক্ষের দরজায় এসে লাথি মারেন এবং শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। একপর্যায়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী অফিসকক্ষে গেলে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের  ২৩ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনার বিষয়ে এসিসিই বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, আমাদের বিভাগের ক্লাসরুমের পাশেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অফিস। তাছাড়া তাদের (আইআর) অফিস জানুয়ারি মাসে অন্যত্র স্থানান্তর করার কথা ছিলো। এদিকে তারা (আইআর) অফিসের জায়গায় প্রসারিত করলে ক্লাস রুমের জায়গা কমে যায়।  এর সুষ্ঠু প্রতিবাদ করলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর হামলা করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানান, "আমাদের দুই বিভাগের শিক্ষকদের সাথে কথা হয়েছে,বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে এবং  লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।" এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

কেআই/আরকে