শফিউলের পরই ফিজের আঘাত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০৮ পিএম, ৯ মার্চ ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৮:১৭ পিএম, ৯ মার্চ ২০২০ সোমবার
শফিউল ইসলাম
বাংলাদেশের দেয়া দুই শতাধিক রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে ৯ রান তুললেও পরের ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ওপেনিংয়ে নামা ব্রেণ্ডন টেইলরকে সৌম্যের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান পেসার শফিউল। এরপরই আঘাত হানেন দ্য ফিজ মুস্তাফিজ। যাতে ৩৭ রানেই ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪২ রান। টিনাশে কামুনহুকামুয়ে ১৬ রানে এবং শেন উইলিয়ামস ৫ রানে ক্রিজে আছেন।
ক্রেইগ আরভিন ৮ রানে মুস্তাফিজের শিকার হয়ে ফেরেন আর মাধেভেরে ফেরেন ফিজ আর আফিফের রান আউটের শিকার হয়ে। এর আগে টেইলর ফেরেন মাত্র ১ রানে।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট ও ওয়ানডের রানস্রোত টি-টোয়েন্টিতেও বয়ে আনে টাইগাররা। আজ অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে যথারীতি বিধ্বংসী মেজাজে হাজির হলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। পরে সৌম্যের বিস্ফোরক ফিফটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশাল স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।
এই তিনজনই ছড়ি ঘুরিয়েছেন জিম্বাবুয়ে বোলারদের ওপর। এর মধ্যে লিটন ও সৌম্য রীতিমত বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ফিফটি তুলে নিলেও পারেননি তামিম। তবে ওয়ানডের পর আজ টি-টোয়েন্টিতেও লিটনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে রেকর্ড গড়েন তামিম।
এর আগে এদিনও টস হেরেছে বাংলাদেশ। তবু টাইগারদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শেন উইলিয়ামস। ব্যাট হাতে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করেন তামিম-লিটন। দশ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৯১ রান যোগ করেন টাইগার ওপেনাররা।
দুই ওপেনারই হাঁটছিলেন হাফসেঞ্চুরির পথে। কিন্তু আশা জাগিয়েও তামিম ফিরে গেছেন। ৩৩ বলে ৪১ রানে আউট হয়েছেন তিনি। ফেরার আগে ইনিংসে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা হাকিয়েছেন তামিম। মাধভেরের বলে উইলিয়ামসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
তামিমের আউটে ভাঙলো ৯২ রানের রেকর্ড জুটি। এই জুটিতে নিজেদের পুরনো রেকর্ডটা নতুন করে লিখলেন দুই ওপেনার। বাংলাদেশের পক্ষে আজ দুইজন মিলে গড়েছেন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। তাদের আগের রেকর্ডটা ছিল ৭৪ রানের।
২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই জুটি ভেঙেছিল তামিম-সৌম্যর রেকর্ড। কয়েক দিন আগে সিলেটে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯২ রানের জুটি গড়ে নতুন ইতিহাস গড়েছিলেন তামিম-লিটন। এবার টি-টোয়েন্টিতেও নতুন রেকর্ড।
তামিম অর্ধশতকের আগেই ফিরেছেন। তবে হাফসেঞ্চুরি করেছেন তার সঙ্গী। ৩৯ বলে ৫৯ রানে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন। ইনিংসে পাঁচটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। আর তিনে নামা সৌম্য ছিলেন আরও বিস্ফোরক।
চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় এদিন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন সদ্য বিবাহিত এই ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ে বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। এর আগে ৩০ বলেই ফিফটি পান এই বাঁহাতি।
এছাড়া মুশফিক দুই ছক্কায় মাত্র ৮ বলে ১৭ রান করে আউট হলেও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৯ বলে একটি চারে ১৪ রান করে। যাতে নির্ধারিত ওভারে ঠিক ২০০-তে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগাদের এটা সর্বোচ্চ রান। তবে সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ রান।
এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে কলম্বোয় ৫ উইকেটে সর্বোচ্চ ২১৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। একই বছর ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২১ রান করেছিল টাইগাররা।
এনএস/