শিশুরা এখন থেকে পাবে এমআর ভ্যাকসিন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ১০ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ১০ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার
বাংলাদেশে হামে মৃত্যুহার হ্রাস এবং জন্মগত রুবেলা সিনড্রোমের (সিআরএস) কারণে শিশুদের মধ্যে শারীরিক অক্ষমতা দূর করতে এমআর ভ্যাকসিন (টিকা) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কর্তৃপক্ষ।
নতুনভাবে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী সব শিশুদের এমআর টিকা দেয়া হবে। এই এমআর টিকার ডোজ দ্রুত হাম ও রুবেলা উভয়ের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে এবং হাম ও রুবেলার বিস্তার কমাবে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে পরিচালনা করা হয় হাম রুবেলা ক্যাম্পেইনটি। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেল হাম রুবেলা ক্যাম্পেইনের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রদান অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন লাইন ডিরেক্টর ড. মুহাম্মদ শামসুল হক। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন টিম আইভিডিও ডব্লিউএইচও এর টিম লিডার ড. রাজেন্দ্র বহারা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মেরিনা অধিকারী সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানানো হয়, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপক আগমন এবং ভারতের সঙ্গে অনিরাপদ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে হাম ঢুকে পড়া এবং ছড়িয়ে পড়ার হুমকি তৈরি হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে আগামী বছরগুলোতে হামে আক্রান্তের ঘটনা, প্রাদুর্ভাব ও মৃত্যু বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হাম রুবেলা ক্যাম্পেইনের পক্ষ থেকে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে নিয়মিত টিকাদানের আওতা বেড়েছে। তবে গত ৩-৪ বছর স্থানীয় পর্যায়ে অনেক জেলা, উপজেলা ও শহরে এই মাত্রা জাতীয় পর্যায়ের চেয়ে কম। ফলে টিকানা না নেওয়া শিশুদের সংখ্যা জমে গত চার বছরে মোট জন্মগ্রহণ করা শিশুর সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা হামের প্রাদুর্ভাব তৈরির ঝুঁকিপূর্ণ সীমায় নিয়ে গেছে।
হামে আক্রান্তের বৃদ্ধির হার উল্লেখ করে বলা হয়, ২০১৪ সালের এমআর ক্যাম্পেইন কর্মসূচির পর দ্বিতীয় বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সালে যেখানে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রতি ১০ লাখে ১.৬ জন, তা অনেকগুণ বেড়ে ২০১৭ সালে প্রতি ১০ লাখে ২২ জন এবং ২০১৯ সালে প্রতি ১০ লাখে ২৭.১ জনে পৌঁছায়।
বাংলাদেশে হাম ও রুবেলা ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করতে বা অন্তত ব্যাপকভাবে সীমিত করতে বিদ্যমান ও ক্রমাগত বাড়তে থাকা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতিগুলো পূরণে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনকে সেরা বিকল্প হিসেবে তুলে ধরা হয়।
এএইচ/