রাবিতে ফেল করেও ভর্তি: ৪৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের দাবি!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫০ পিএম, ১০ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিতে) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে পাশ নম্বর তুলতে ব্যর্থ হয়েও স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৪৩ শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য হয়ে ভর্তি হওয়া সেসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার ব্যানারে এসব দাবি জানানো হয়।
এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ৪৩ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়া সত্বেও আইন অমান্য করে প্রশাসনের হটকারিতা ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে তাদের ভর্তি করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন হটকারিতা ও নীতি বর্হিভূত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ভর্তি হওয়া ৪৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করতেই হবে। তাছাড়া আমরা যারা তুমূল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রাবিতে ভর্তি হয়েছি, আমরা সেসব ছাত্রদের সাথে একসাথে ক্লাসে যাব না।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভর্তি পরীক্ষার মান স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা এবং যুগোপযোগী করার উদ্দেশ্যে কয়েক দফা দাবি উত্থাপন করে শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অকৃতকার্য ৪৩ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা। এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করতে ২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর করা। ভর্তি পরীক্ষা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। ভর্তি পরীক্ষায় বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা। কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে মেধা থেকে পূরণ করা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সর্বস্তরের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২১ ও ২২ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাশ নম্বর ছিল ৪০। নিয়ম অনুযায়ী পাশ নম্বর পাওয়ার পরই পোষ্য কোটা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটায় ৪০ এর কম এবং ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তির বিভাগ পছন্দক্রম করতে বলা হয়। এরপর ২ জানুয়ারি তাদের ভর্তির সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকেই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ৪৩ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।
কেআই/এসি