ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৫৮

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৯ এএম, ১১ মার্চ ২০২০ বুধবার

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও বেড়েই চলেছে ইউরোপের দেশগুলোতে। সর্বোচ্চ সতর্কতার পরও এখনও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ভাইরাসটি। যেখানে গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের হারে উৎপত্তিস্থল চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া। 

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪ হাজার ২৫৮ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত ৬৪ হাজার ২১৪ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে।

বিশ্বের ১১৪টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়েছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৫৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৩৬ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ১৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩১ জনের।

এদিকে ইতালিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৪৯ জনে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। অপরদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২৯১ জন।

জাপানে নোঙ্গর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৯৬ যাত্রী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। জার্মানিতে এই ভাইরাসে ১১৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। ফ্রান্সে ১৬০৬ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩০ জন। জাপানে আক্রান্ত হয়েছে ৫৫৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।

স্পেনে আক্রান্ত ১৬২২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ৫২৫, মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ৩৩২ এবং মারা গেছে ২ জন, যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ৩১৯ মৃত্যু ৫। ইরাকে আক্রান্ত ৬০, মৃত্যু ৬। ভারতে ৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর প্রাণহানি ঘটেনি।

এছাড়া, সুইডেনে আক্রান্ত ২৪৮, সিঙ্গাপুরে ১৬৬, নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৩৮২ এবং মৃত্যু ৩, নরওয়েতে আক্রান্ত ১৭৬, বেলজিয়ামে ২৩৯, হংকংয়ে আক্রান্ত ১১৫ এবং মৃত্যু ৩, মালয়েশিয়ায় ১২৯, অস্ট্রিয়ায় ১৩১, অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত ১০০, মৃত্যু ৩, বাহরাইনে ৮৮, কুয়েতে ৬৯, কানাডায় ৭৭, থাইল্যান্ডে ৫৩ এবং মৃত্যু ১, তাইওয়ানে আক্রান্ত ৪৫ এবং মৃত্যু ১, গ্রিসে ৭৩, আমিরাতে ৪৫, আইসল্যান্ডে ৫৮, সান মারিনোতে ৩৬ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যু ১, ডেনমার্কে আক্রান্ত ৩৫, লেবাননে ৩২, ইসরাইলে ৩৯, চেক রিপাবলিকে ৩২, আয়ারল্যান্ডে ২১, আলজেরিয়াতে ২০ এবং ভিয়েতনামে ৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

অপরদিকে, ওমানে ১৮, ফিলিস্তিনে ২৫, মিসরে ১৮, ফিনল্যান্ডে ২৬, ব্রাজিলে ২৭, ইকুয়েডরে ১৬, পর্তুগালে ৩৩, রাশিয়াতে ২০, ক্রোয়েশিয়ায় ১৩, কাতারে ১৭, ম্যাকাউতে ১১, এস্তোনিয়ায় ১১, জর্জিয়ায় ১৪, রোমানিয়ায় ১৬, আর্জেন্টিনায় ১৪, স্লোভেনিয়ায় ১৭, আজারবাইজানে ১০, বেলারুশে ৭, মেক্সিকোতে ৮, পাকিস্তানে ৭, ফিলিপাইনে আক্রান্ত ১১ এবং মৃত্যু ১, সৌদি আরবে ১৬, চিলিতে ১০, পোল্যান্ডে ১১, স্লোভাকিয়ায় ৫, পেরু ৭, ইন্দোনেশিয়ায় ৬, নিউজিল্যান্ডে ৫, সেনেগালে ৪ ও হাঙ্গেরিতে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এ ছাড়া লুক্সেমবার্গে ৫, উত্তর মেসিডোনিয়ায় ৩, বসনিয়ায় ৩, ডোমিনিক প্রজাতন্ত্রে ৫, মরক্কোতে ২, আফগানিস্তান ৪, কম্বোডিয়া ২, বুলগেরিয়া ৪, ক্যামেরুন ২, মালদ্বীপ ৪, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩, লাটভিয়ায় ৩, বাংলাদেশে ৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

অপরদিকে, আন্দোরা, আর্মেনিয়া, জর্ডান, লিথুনিয়া, মোনাকো, নেপাল, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তিউনিসিয়া, ইউক্রেন, ভুটান, কোস্টারিকা, ভ্যাটিকান সিটি, গিব্রালটার, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং টোগোতে একজন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।