ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ৯ ১৪৩১

নোবিপ্রবি’র দেড় কোটি টাকার ইন্টারনেট মন্থরগতির, বিপাকে শিক্ষার্থী

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ১১ মার্চ ২০২০ বুধবার

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। ছবি: একুশে টেলিভিশন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। ছবি: একুশে টেলিভিশন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) দেড় কোটি টাকা ব্যয়ের মন্থর গতির ইন্টারনেট দিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন, শিক্ষকদের ডরমিটরি, প্রশাসনিক ভবন এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। কিন্তু এই গতির ইন্টারনেট দিয়ে কোন সুফল পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ও গবেষণা।

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পুরো ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত ইন্টারনেট উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম। ইন্টারনেট উদ্বোধন হওয়ার পর আনন্দে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বাস্তবে ইন্টারনেটের কোন সুবিধা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দৈনন্দিন জীবনে দ্রুত ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। থিসিস, প্রজেক্ট, ক্লাস টেস্ট এবং নিত্যনৈমিত্তিক পড়াশুনার জন্য ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। কিন্তু মন্থর গতির ইন্টারনেটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে একাধিক অভিযোগের পরেও কোন সমাধান পায়নি শিক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আব্দুল মালেক উকিল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও ১ যুগ ধরে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি শিক্ষা হতে অনেকটাই দূরে। যার অন্যতম কারণ ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত। 

সাব্বির আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি কিংবা হলে পাচ্ছে না ইন্টারনেট সুবিধা। আমাদের থিসিস, প্রজেক্ট ও গবেষণার জন্য ইন্টারনেটের সহযোগিতা নিতে হয়। ইন্টারনেট ছাড়া এসব কাজ করা একেবারেই অসম্ভব। তাই আমাদের গবেষণায় মানোন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, দ্রুত গতির নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করুন। না হলে আমরা বর্তমান সময়ের প্রযুক্তিগত শিক্ষা থেকে পিছিয়ে যাবো।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ হিল ফারুক বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় দেড় কোটি টাকা বাজেট খুবই নগন্য। পুরো ক্যাম্পাসকে দ্রুত ইন্টারনেটের আওতায় আনতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাজেট হয়েছে ৮ কোটি টাকা। বিপরীতে আমাদের ক্যাম্পাসের জন্য বাজেট মাত্র দেড় কোটি টাকা। এই বাজেটটি নূন্যতম ৪-৫ কোটি টাকা হলে পুরো ক্যাম্পাসকে দ্রুত ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব বলে বিশ্বাস করি।

এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট চলছে। আইসিটি সেল আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছে দ্রুত ইন্টারনেটের আওতায় আনতে কিছুদিন সময় লাগবে। এই কিছুদিন বলতে কতদিন লাগবে তা স্পষ্ট করে বলে নাই। আইসিটি সেলের সঙ্গে আবার এই বিষয়ে কথা বলব এবং এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করব।

এএইচ/