শিল্পী কাজলের তৈলচিত্রের প্রদর্শনী চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৬ পিএম, ১১ মার্চ ২০২০ বুধবার
চিত্রশিল্পী আখতার মাহমুদ কাজলের 'মুক্তিযুদ্ধ ও নৈসর্গিক বাংলাদেশ' শীর্ষক একক তৈলচিত্র প্রদর্শনী শিল্পকলা একাডেমিতে ১৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনীটি আজ বুধবার শেষ হবার কথা ছিল। তবে দর্শনার্থীরদের চাহিদার প্রেক্ষিতে শিল্পকলা একাডেমি প্রদর্শনীর সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পী আখতার মাহমুদ কাজল।
একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনের ৬নং গ্যালারীতে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। যা গত ২ মার্চ শুরু হয়েছিল। চিত্রশিল্পী আখতার মাহমুদ কাজল বলেন, দর্শকদের বেশি চাহিদার জন্য শিল্পকলা একাডেমি সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে।
গত ২ জানুয়ারি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদক বিজয়ী শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
প্রদর্শনীতে শিল্পী আখতার মাহমুদ কাজলের ১০২টি তৈলচিত্র স্থান পেয়েছে। বাঙালির লড়াই সংগ্রামকে কেন্দ্র করে আঁকা প্রতিকৃতি, তাদের মুখাবয়ব ও অভিব্যক্তি, সেই সঙ্গে প্রকৃতি-অনুপ্রাণিত বিমূর্ত ভাব তার চিত্রকর্মকে এনে দিয়েছে স্বতন্ত্র শৈলী। চল্লিশ বছর ধরে শিল্পচর্চা করলেও প্রথমবারের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মানবতাবাদী শিল্পীর।
আখতার মাহমুদ কাজল জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৫ সালে ১ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কমলাকান্তপুর গ্রামে। দারিদ্রের কষাঘাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ হয়নি এই স্বশিক্ষিত চিত্রশিল্পীর। মূলত তেলরঙের চিত্রকর্মে সিদ্ধহস্ত তিনি।
শিল্পী আখতার মাহমুদ কাজল বলেন, শিল্পকর্মে আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি স্কুলে পড়ি। বেড়ে উঠেছি গ্রামেই। বাবার পেশাগত কাজের সুবাদে ঘুরেছি দেশজুড়ে। খুব কাছ থেকে দেখেছি পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতন। যা আমাকে নাড়া দিয়েছে। বাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যও আমাকে টেনেছে। আমার শিল্পকর্মগুলোতে এসবই তুলে ধরেছি।
৬৫ বছর বয়সী এই চিত্রশিল্পী বলেন, দীর্ঘ চল্লিশ বছর তৈলচিত্রে কাজ করলেও কখনও প্রদর্শনী করিনি। একজন স্বশিক্ষিত শিল্পী হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে শিল্পচর্চা করেছি। তবে আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী এবারই প্রথম।
প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরকে//