কাঠমান্ডুর বিমান দুর্ঘটনার দুই বছর আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৬ এএম, ১২ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার
আজ ১২ মার্চ, নেপালে বিমান দুর্ঘটনার দুই বছর। ২ বছর আগে আজকের এই দিনে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার শিকার হয় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১১ ফ্লাইট। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় ফ্লাইটের পাইলট, ক্রুসহ নিহত হন ৪৯ জন।
ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি ওই দিন দুপুরে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে। নেপালের যাত্রাপথ ১ ঘণ্টা হলেও বিমানবন্দর ব্যস্ত থাকায় ত্রিভুবনের চারপাশে প্লেন নিয়ে ঘুরছিলেন পাইলট। অতিরিক্ত ১৫ মিনিট উড্ডয়নের পর পাহাড়ঘেরা ত্রিভূবন বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে দুই টুকরো হয়ে বিধ্বস্ত হয় ড্যাশ ৮কিউ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি।
এ ঘটনায় প্রথমে ঘটনাস্থলে ২০-২৫ জনের মতো নিহত হওয়ার তথ্য জানায় নেপাল। তবে কিছুক্ষণ পর আহতদের হাসপাতালে নিলে দীর্ঘ হয় লাশের সারি। পাইলট ক্রুসহ একে একে ৪৯ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি।
বিমান বিধ্বস্তের পরপরই পাইলট এবং ত্রিভূবন বিমানবন্দরের এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোলের কথোপকথন ভাইরাল হয় ইউটিউবে। এগুলো শুনে দুর্ঘটনার জন্য ইউএস-বাংলা ও নেপাল একে অন্যের ওপর দোষারোপ করে। এ ঘটনায় গঠিত নেপাল সিভিল এভিয়েশনের তদন্ত কমিটি ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবদনে উড়োজাহাজের কোনো ত্রুটি পাওয়া না গেলেও ককপিটে পাইলটের বিষণ্ণ মনোভাব, ধূমপান করা এবং ককপিট-এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোলের ভুল বোঝাবুঝিকে দায়ী করা হয়।
তবে ওইদিনই ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে নেপালের তদন্ত প্রতিবেদনকে একপেশে দাবি করে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।
এসএ/