করোনায় মৃত্যুপুরী ইতালি : খাবার দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া সব বন্ধ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০২ এএম, ১২ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:০৫ এএম, ১২ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার
ইতালিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন ১৬৮ জন, তার আগের দিন ৯৭ জন, তারও আগের দিন ১৩৩ জন মারা যায় প্রাণঘাতী ভাইরাসে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৭ জনে।
দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৩১৪। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৪৬২ জন। যা চীনের পরেই সর্বোচ্চ। এ খবর দিয়েছে চায়না সাউথ মর্নিং পোস্ট।
একরকম অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে ইতালির ছয় কোটি মানুষ। খাবার দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া সব দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির অবস্থা সবচেয়ে করুণ। সেখানেই আক্রান্ত ও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে পানশালা, রেস্তোরাঁ, সেলুন ও এই মুহূর্তে জরুরি নয় এমন কোম্পানিগুলোর সব বিভাগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুরো দেশজুড়েই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর আগে দেশটির ১৪টি প্রদেশে ৮ মার্চ থেকে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কিন্তু এখন তা বাড়িয়ে দেশটির ২০টি প্রদেশের সবগুলোতেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী কন্তে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে বলেন, এখন আর সময় নেই। যারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন তাদের সুরক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে দেশজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলাধূলা, জিমনেশিয়াম, জাদুঘর, নাইটক্লাব, সিনেমা, মসজিদ এবং অন্যান্য ভেন্যু আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনা ভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করেছে। বুধবার (১১ মার্চ) রাতে সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস জানান, গত দুই সপ্তাহে ভাইরাসটি চীনের বাইরে ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দ্রুত গতিতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার হতে থাকায় গত ৩০ জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। ওই সময়ে সংস্থাটির প্রধান জানান, এর মাধ্যমে দুর্বল স্বাস্থ্য সেবার দেশগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
আজ সকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৪ জনের। আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯২৬। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৭ হাজার ১১৯ জন।
এএইচ/